শেষ আপডেট: 20th March 2020 08:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিকেল থেকে রাত অবধি খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে পাওয়া গেল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে পালানো যুবক ও তাঁর পরিবারকে। কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে শুনেই বছর সাতাশের ওই যুবক হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান। তাতে রোগ ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ির লোকজন। শহরের বছর সাতাশের এক যুবক বৃহস্পতিবার হাসপাতালে আসেন জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা-সহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে। করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সঙ্গে তাঁর উপসর্গের মিল দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক অভিষেক দে জানতে চান গত কয়েক দিনে ওই ব্যক্তি কোথায় কোথায় গেছেন। ওই যুবক জানান যে, তিনি আমদানি-রফতানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি চ্যাংরাবান্ধা গিয়েছিলেন কয়েক জন চিনা খরিদ্দারের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁদের মধ্যে একজন আবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। বাড়ি ফিরে আসার কিছুক্ষণ পরে ওই যুবকের জ্বর আসে। তখন তিনি প্রথমে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে তিনি যান সদর হাসপাতালের টিবি ইউনিটে। একথা শুনে চিকিৎসক সন্দেহ করেন যে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তিনি বলেন যে ওই ব্যক্তিকে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হতে পারে। সঙ্গে সঙ্গেই ওই চিকিৎসক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে ঘর ছেড়ে বাইরে যান। ফিরে এসে তিনি দেখেন যে ওই যুবক নেই, ঘর ফাঁকা। এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে রাতে জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেছিলেন, এবিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই তবে তিনি খোঁজ নেবেন। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেবেন। রাতে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ওই যুবককে খুঁজতে পুলিশের সাহায্য চেয়েছে। গভীর রাতে পুলিশ ওই যুবকের বাড়ি খুঁজে বের করে। এরপর পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের টিম গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। পরে পরিবারের তিন জনকেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে বলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে। শীঘ্রই তাঁদের লালারস পরীক্ষা করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।