শেষ আপডেট: 17th July 2020 12:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের ঠিক দু’দিনের মাথায় প্রকাশিত হল এবছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফল। বিদ্যাসাগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলপ্রকাশ করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রধান মহুয়া দাস। তবে ফল প্রকাশের আগেই তিনি তুলে ধরলেন কতটা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এবারের ফল প্রকাশ করেছে সংসদ। করোনা সংক্রমণ ও উমফানের মতো প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে গিয়েছেন পরীক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। মহুয়া দাস বলেন, এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১২ মার্চ। ২৭ মার্চ তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে ২২ মার্চ থেকে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরেই শুরু হয় লকডাউন। সেই কারণে ২১ মার্চের পর আর পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তার আগে ৩৭টি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তিনদিনে ১৪ টি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এরপরেও নিজের দায়িত্বে পরীক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কোনও কসুর করেননি বলেই জানিয়েছে সংসদ প্রধান। তিনি বলেন, ১০০টি রেলস্টেশন ও থানায় উত্তরপত্র জমা ছিল। লকডাউনের মধ্যেও সংসদের কর্মীরা স্টেশন খুলিয়ে ও থানা থেকে সব উত্তরপত্র সংগ্রহ করেছেন। শুধুমাত্র করোনা সংক্রমণ নয়, উমফানেও অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল পরীক্ষকদের। মহুয়া দাস জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় উমফানের প্রভাব পড়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেও পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি পরীক্ষার খাতার সঠিকভাবে মূল্যায়ণ হয়েছে। পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকরা নিজেদের কাজ যথাযথভাবে পালন করেছেন। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশ করতে পারার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সংসদের সব কর্মী, পরীক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংসদ প্রধান। সেইসঙ্গে সাংবাদমাধ্যমকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার ঐতিহাসিক। পাশ করেছে ৯০.১৩ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। সংসদ প্রধান জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিম্পং, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি জেলাতেও ফল যথেষ্ট ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।