দ্য ওয়াল ব্যুরো: গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে এক যুবক। জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম ভোলা ওরাও ওরফে সানি। বছর ২২-এর এই যুবক আদতে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে উত্তর চব্বিশ পরগনায় থাকে এই সানি। হাবড়া থানার অন্তর্গত বদর ইছাপুর এলাকায় একটি ইট ভাটায় কাজ করে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই এলাকাতেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনেকদিন ধরে থাকেন সন্ধ্যা সরকার ও তাঁর স্বামী। জানা গিয়েছে, স্থানীয় ইট ভাটায় কাজ করেন সন্ধ্যাদেবীর স্বামী। আদতে এই সরকার দম্পতি বনগাঁ মহকুমার গোপালনগর থানার হিংলি এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি এই মহিলার শ্বশুর অসুস্থ হওয়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আদি বাড়িতে যান সন্ধ্যার স্বামী। তখনই ঘটেছে বিপত্তি। পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীর ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে বাড়ির কাছেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। আচমকাই সেখানে হাজির হয় ইট ভাটার দিনমজুর সানি।
সন্ধ্যার অভিযোগ, তাঁকে জোর করে রাস্তা থেকে তুলে ইট ভাটার ভিতর একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় সানি। তারপর সানি তাঁকে মারধর করে এবং গলা টিপে ধরে বলেও অভিযোগ করেছেন সন্ধ্যা। অভিযোগ, তারপর তাঁকে ধর্ষণ করে সানি। ভয় দেখিয়ে এও বলে যাতে কাউকে এ কথা না জানানো হয়। তাহলে ফল ভাল হবে না। তারপর ভোররাতে ইট ভাটা ছেড়ে চম্পট দেয় সানি। কোনওমতে বাড়ি ফিরে আসেন সন্ধ্যা। স্বামীকে সব কথা জানান তিনি। গতকাল সকালে হাবড়া থানায় সানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সন্ধ্যা। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযুক্ত ইট ভাটার শ্রমিক ভোলা ওরাও ওরফে সানিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর থানা এলাকার একটি ইট ভাটায় গা-ঢাকা দিয়েছিল সানি। সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে বারাসাত আদালতে পেশ করা হয়েছে। অন্যদিকে সন্ধ্যার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। প্রমাণ সংগ্রহের জন্য শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবকেরও।