শেষ আপডেট: 28th May 2020 18:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘুর্ণীঝড় উমফানের প্রভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া ব্লকগুলিতে অন্তত পাঁচশোটি নদীবাঁধের ক্ষতি হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাটে গিয়ে তিনি মহকুমার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তিনি জানান, সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লক, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ ও হাড়োয়া ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য ১১ লক্ষ জলের পাউচ বিলি করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ৩ জুনের মধ্যে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। বসিরহাট শহর ও টাকি পুরসভার বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। বারাসত থেকে হেমনগর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার রাস্তার উপরে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছিল। সেগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে বলে যান চলাচল করতে পারছে। জলবাহিত রোগে এই মহকুমায় শতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে ডায়েরিয়া দেখা দিলেও এখনও পর্যন্ত তেমন কিছু দেখা যায়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিক। বসিরহাট মহকুমায় প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। সেজন্য কৃষিঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে সেই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে স্বরাষ্ট্রসচিব আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “কত বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে তার চূড়ান্ত তালিকা আমরা পেয়ে যাব। ধাপে ধাপে সেগুলো দেখা হবে।” শুক্রবার বনগাঁ মহকুমায় বৈঠক করবেন তিনি। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের যুগ্মসচিব সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, বসিরহাটের পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, মহকুমাশাসক বিবেক ভস্মে প্রমুখ। ছিলেন জেলার স্বাস্থ্য, সেচ ও পূর্ত আধিকারিকরা। উমফানের জেরে বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ গজালমারি সীমান্তের ইছামতি নদীর বাঁধ ভেঙেছিল প্রায় আড়াইশো ফুট। এই এলাকায় আবার নতুন করে ৫০ ফুট নদীবাঁধ ভেঙেছে। ফলে গ্রামে জল ঢুকছে। গজালমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।