শেষ আপডেট: 30th March 2020 10:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যে প্রথম করোনা-আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পরেই হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যেতে হয়েছিল স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। চোদ্দ দিন কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ ফুরোনোর পর আজ সোমবার নবান্নে এলেন তিনি। এদিন সচিবালয়ের সভাঘরে দেখা গেল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে। কলকাতা তথা রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়ার পরে জানা যায় আক্রান্তের মা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিব। স্বরাষ্ট্রসচিবের কক্ষে গত ১৬ মার্চ এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এও জানা যায়, সেদিন তাঁর বিলেত ফেরত করোনা আক্রান্ত ছেলেকে নিয়েই নবান্নে পৌঁছেছিলেন ওই আমলা। যদিও মিটিংয়ে আলাপনবাবুর ও ওই আমলার আসনের মধ্যে নিরাপদ দূরত্ব ছিল। এর পর ওই যুবকের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। স্বাভাবিক ভাবেই নবান্নের কর্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্বরাষ্ট্র দফতরে ওই বিশেষ সচিবকে সপরিবারে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে যান স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এমনিতে স্বরাষ্ট্রসচিবের সরকারি বাসভবনও তাঁর দফতর বলেই বিবেচিত হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মোকাবিলায় সরকার যখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে চলেছে, তখন বাড়িতে বসেই তাঁর দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন আলাপনবাবু। তবে এও ঠিক, মুখোমুখি বৈঠকে বসে যে সমন্বয় সম্ভব হয় তার বিকল্প হয় না। তিনি কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ কাটিয়ে নবান্নে ফেরার পর স্বরাষ্ট্র দফতরের কাজ কর্ম আরও মসৃণভাবে এগোবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত তরুণ ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরেন। আর ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। মাঝে ১৬ মার্চ দিনভর তাঁর মা নবান্নে ছিলেন। অফিসের কর্মীরাও সোমবার ওই পদস্থ আমলার সংস্পর্শে আসেন। এই ঘটনার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল নবান্নে। ওই আমলার সংস্পর্শে এসেছেন এমন অনেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। নবান্নে ওই আমলার ঘর সিল করে দেওয়া হয়। তাঁর দফতর ছিল মহাকরণেও। সেই কেবিনও সিল করে দেয় স্বাস্থ্য দফতর। সেখানেও আশপাশের কর্মী, অফিসারদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। গতকাল রবিবার ওই আমলা পুত্রের দ্বিতীয় রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। অর্থাৎ আর একটা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁকে করোনা মুক্ত বলা যাবে। ওই আমলা ও তাঁর স্বামীরও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানিয়েছেন, আগামী কাল মঙ্গলবার পুনরায় তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। টেস্ট রেজাল্ট নেগেটিভ পাওয়া গেলে তাঁদের করোনামুক্ত বলে বিবেচনা করে তার পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।