শেষ আপডেট: 15th January 2021 09:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমফানের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের যে খরচ করেছে সরকার তা ক্যাগ তথা কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটরস জেনারেলকে দিয়ে হিসাব করানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু ঘটনা হল, সেই নির্দেশের পরেও ক্যাগের কাছে এখনও ত্রাণ বন্টন ও ক্ষতিপূরণের হিসাব দেয়নি রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ ব্যাপারে শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, এখনও অর্থবর্ষ শেষ হয়নি। তাই ১৬ জেলার জেলাশাসক হিসাব দিতে পারছেন না। রাজ্যের সেই বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সোমবার রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে, কবে তারা ক্যাগের কাছে হিসাব তথা রিপোর্ট পেশ করতে পারবে। আমফানের খরচের হিসাব নিয়ে হাইকোর্ট ক্যাগের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বার বলেছিলেন, এতে রাজ্যের অসুবিধা নেই। এটা খুব নর্মাল ব্যাপার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আবেদন জানিয়েছে নবান্ন। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুক্রবার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, “আমফানে কি পুকুর চুরি হয়েছে?”। তাঁর কথায়, চুরি যে হয়েছে সে তো মানুষই দেখেছে। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে দু-পাঁচ টাকার ছিঁচকে চুরি নয়, পুরো টাকাটাই হয়তো লুটেপুটে নিয়েছে। নইলে ক্যাগকে হিসাব দিতে এত টালবাহানা কেন? গত বছর আমফান ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল মে মাসে। সেই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ভরা লকডাউন চলছে। আমফান আসার আগেই কোভিডের সময় চাল বন্টন নিয়ে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। তার পর উঠেছিল আমফানের টাকা তছরূপের অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমে তখন ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল যে কী ভাবে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতা, সদস্যদের আত্মীয়রা ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন তথা স্বজনপোষণ হয়েছে। এর পর আবার কোভিড মোকাবিলায় সরঞ্জাম কেনা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ বার ভোটের বছর। তার আগে এহেন সব অভিযোগ সামলাতে এখন জেরবার শাসক দল। জেপি নাড্ডা সহ বিজেপি নেতারা বলছেন, তৃণমূল মানেই চাল চোর। সেই কথা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে রুদ্রনীল ঘোষদের মুখেও। এখন দেখার আদালতে কী জানায় সরকার। তা খতিয়ে দেখে কবে তাদের রিপোর্ট পেশ করে ক্যাগ।