শেষ আপডেট: 23rd April 2019 05:04
তৃতীয় দফায় আরও কড়া কমিশন, বুথে বুথে ঘুরে পরিচয়পত্র দেখছেন অবজার্ভার
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যত দফা এগোচ্ছে, তত যেন আরও কড়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বালুঘাটের বুথে বুথে ঘুরে পোলিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র দেখতে দেখা দেখা গেল অবজার্ভারকে। যাতে বুথে কোনও বহিরাগত না ঢোকে, সে জন্যই এমন পদক্ষেপ বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম দফার তুলনায় দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয়বাহিনী বেড়েছিল। তৃতীয় দফার পাঁচ আসনের ভোটে ৯২ শতাংশ বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহনী। বালুরঘাট, মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুরে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে। চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। কমিশন জানিয়েছে, প্রথম দু’ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ন’টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোট পড়েছে ১৭.২৮ শতাংশ, মালদহ উত্তরে ১৬.১১ শতাংশ, মালদহ দক্ষিণে ১৬.২২ শতাংশ, জঙ্গিপুর ১৭.৫৪ শতাংশ এবং মুর্শিদাবাদে ১৭.৫৪ শতাংশ। গড়ে ভোট পড়েছে ১৬.৯৪ শতাংশ। প্রথম দফার ভোটে অশান্তি হয়েছিল কোচবিহারে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। পাল্টা বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে বিজেপি-র হয়ে কাজ করার অভিযোগ অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ডিসিআরসি-তে ধর্নাতেও বসেছিলেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল মুকুল রায়-সহ বিজেপি নেতারা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের ঘরের মেঝেতে ধর্নায় বসে পড়েন। এরপর কমিশন নড়েচড়ে বসে। বাংলার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ইতিমধ্যেই মন্তব্য করেছেন, ১০-১৫ বছর আগের বিহারের যা আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা ছিল, এখন বাংলারও সেই রকম। এ নিয়ে তৃণমূল আপত্তি জানায় কমিশনে। দাবি জানায় অজয় নায়েকের অপসারণের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ-ও বলেন, দিল্লি থেকে লোক পাঠিয়ে বিজেপি প্যারালাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছে বাংলায়। কিন্তু কমিশনও যেন বাংলার ভোটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করাতে মরিয়া। কারণ ভোটের প্রস্তুতি পর্বে যতবার কমিশন কর্তারা বাংলায় এসেছেন, ততবার বিরোধীরা তুলে ধরেছিলেন পঞ্চায়েতের লাগামহীন হিংসার ছবি। ভোট ঘোষণার দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা নিজেই জানিয়েছিলেন, সুষ্ঠু ভাবে ভোট করাতে কমিশন বদ্ধপরিকর। তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদের ডোমকল, মালদহের সুতি কিংবা সুজাপুর বা বালুরঘাটের তপন থেকে হিংসার খবর এসেছে। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, মোটের উপর এখনও ভোট হচ্ছে শান্তিতেই। যা গণ্ডগোল, সবটা বিক্ষিপ্ত। এখন দেখার বাকি দিন কেমন কাটে।