শেষ আপডেট: 10th November 2019 08:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দুই চব্বিশ পরগনা। ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই মেদিনীপুরেও। জানা গিয়েছে, বুলবুলের দাপটে ইতিমধ্যেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নোদাখালিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ বছরের এক কিশোরের। পুলিশ জানিয়েছে বড়ুল হাইস্কুলের ওই ছাত্রের নাম সুদীপ ভক্ত। টিভি দেখার সময় সুইচ বোর্ড অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের।
বুলবুল ঝড়ের প্রভাবে নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া গ্রামে গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুজাতা দাস (২৬) নামে এক মহিলার। দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন সুজাতাদেবী। সেইসময় বাড়ির পিছন দিকের একটি গাছ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপা পড়ে যান সুজাতা এবং তাঁর সন্তান। মহিলার স্বামী বাচ্চাদুটিকে উদ্ধার করতে পারলেও ঘরের ভিতরেই মৃত্যু হয় সুজাতার
সুজাতা ছাড়াও নোদাখালিতে দেওয়াল এবং গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও চারজনের। হিঙ্গলগঞ্জেও মাটির বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। অন্যদিকে শনিবার কলকাতার বালিগঞ্জেও গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণের।
বুলবুলের দাপটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। অধিকাংশ জায়গাতেই রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। একেবারে গোড়া থেকে উপড়ে গিয়েছে অসংখ্য গাছ। ধসে গিয়েছে মাটির বাড়িও। গাছ পড়ে আটকে গিয়েছে অনেক রাস্তা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষের কাজেও। সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানাতেও তাণ্ডব দেখিয়েছে বুলবুল। নামখানায় ভেঙে গিয়েছে দুটো জেটি।
পূর্ব মেদিনীপুরে ধান ও পান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খেজুরি, রামনগর, কাঁথি, কোলাঘাট, মায়াচর, নন্দীগ্রাম-সহ একাধিক এলাকায় ধানগাছ ভেঙে শুয়ে গিয়েছে জলের তলায় গেছে গাছ। জানা গিয়েছে, গোটা জেলায় কয়েক হাজার হেক্টর ধান চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। প্রায় পাঁচশ পানের বোর্ড ভেঙে নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে রামনগরে পানের বোরজেকয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। খেজুরিতেও প্রায় শতাধিক পান বোরজের ক্ষতি হয়েছে। এইসময় ধান ও পান চাষের ক্ষেত্রে ফসল তোলার মরশুম। সেইসময়েই এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। খেজুরিতে উচ্ছের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বুলবুলের প্রভাবে।
ছবি: সরল দাস