শেষ আপডেট: 12th August 2020 06:34
আউশগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৯ জন, তার মধ্যেই চলল তৃণমূলের সভা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে একটি এলাকায় একসঙ্গে ন’ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরেও সামাজিক বিধি না মেনে সভা করার অভিযোগ উঠল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আক্রান্তদের যখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোর চলছে তারই মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তোয়াক্কা না করে সভা করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে বুধবার শাসকদলের এই রাজনৈতিক সভা ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার লোকজন। আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রামনগর অঞ্চলের ছোড়া কলোনি, মোড়বাঁধ ও পুবার গ্রাম মিলিয়ে আট জনের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে এক প্রসূতিও রয়েছেন। একই ব্লকের বিলসোণ্ডা গ্রামের এক জনের রিপোর্টও এ দিন পজিটিভ এসেছে। সব মিলিয়ে আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে এ দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নয় জন। এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশিকা না মেনেই করোনা আক্রান্ত এলাকা রামনগর পিএইচসির মাঠে মল্লিকপুর গোস্বামীখণ্ডে সভা করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বিজেপির বেশ কয়েক জন কর্মী ও সমর্থক আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এই সভাকে কেন্দ্রে করেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রামনগর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আসগর শেখ বলেন, “আমরা বহু পরে এলাকায় করোনা আক্রান্তের খবর শুনেছি। তখন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে গেছে। তবে আমরা সতর্ক ছিলাম। মানুষকে সতর্ক ও সাবধান করেছি।" তৃণমূলের এই সভায় দু'শোর বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন। এদিন মল্লিকপুর গ্রামের তৃণমূলের সভায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে ৩০ জন যোগ দেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ, ব্লক তৃণমূল নেতা শেখ আব্দুল লালন, আউশগ্রাম ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলি প্রমুখ। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “সভাটি পূর্বনির্ধারিত। তবুও আমরা প্রশাসনের কথা মেনে ফাঁকা মাঠ থেকে সরিয়ে সেটি সৃজনী হলে করেছি। সামাজিক দূরত্ব মানা হয়েছে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করেছি। লোকজন কম রেখেছিলাম।” আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিষয়টি সঠিক জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।” এই ঘটনা নিয়ে সমালোচনা করছে বিরোধীরা। এলাকার বিজেপি নেতা নিতাই বিশ্বাস বলেন, “শাসকদলের এই সভা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। পুলিশের ভূমিকাও অবাক করার মতো।” যদিও এ বিষয়ে আউশগ্রাম থানার আইসির কোনও বক্তব্য জানা যায়নি।