শেষ আপডেট: 16th July 2020 16:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: দমদম পুর এলাকায় আগামী শনিবার ১৮ জুলাই থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন কররা সিদ্ধান্ত নিল পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভার প্রশাসক সুবোধ চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, “আগামী শনিবার সকাল ছ’টা থেকে ২৪ জুলাই রাত বারোটা পর্যন্ত পুর এলাকার ৩৪টি ওয়ার্ডেই কঠোর ভাবে লকডাউন জারি থাকবে।” তিনি জানিয়েছেন, “এর মধ্যে কোনও ব্যক্তি মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে প্রয়োজনে পুলিশ প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এই সাত দিন ওষুধ ও দুধের দোকান ব্যতীত সব বাজার, দোকান ও মল বন্ধ থাকবে। মুদিখানার দোকানগুলি অবশ্য নির্দিষ্ট অর্ডারের ভিত্তিতে হোম ডেলিভারি করতে পারবে। এই ঘোষণার আগেই অবশ্য নিজের বিধানসভা এলাকায় থাকা দুটি পুরসভা এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করার দাবি করেছিলেন উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। দমদম ও নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায় এখনই পুরোপুরি লকডাউন চালু করা দরকার বলে এদিন তিনি মন্তব্য করেছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের দফতরে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এই দুই পুর এলাকায় লকডাউন করা হচ্ছে না। এখানে ২৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।” উত্তর দমদম বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ছে এই দুটি পুর এলাকা। এখানকার বিধায়ক সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্যের অভিযোগ, তাঁর বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকা ঠিক মতো খরচ করছে না এই দুই পুরসভা। এই বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের তরফে দায়িত্বে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি রাজ্যের রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধেও এদিন অভিযোগের আঙুল তোলেন উত্তর দমদম কেন্দ্রের বিধায়ক। সরাসরি নাম করেই তিনি অভিযোগ করেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নির্দেশে বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা গ্রহণ করছে না এই দুই পুরসভা। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক এই বৈষম্যের বিচার পেতে লকডাউন ওঠার পরে তিনি নিজে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই দলের ছাড়পত্র পেয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে বৃহস্পতিবার তন্ময় ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, ঘূর্ণিঝড় উমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়েছে পুর প্রশাসক বোর্ড। তারা রেশন বণ্টনে দুর্নীতি করছে, বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে।