শেষ আপডেট: 17th June 2020 10:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল। এবার জগদ্দল থানা এলাকার নয়াবাজার ও রুস্তম গুমটি এলাকা। মঙ্গলবার রাতে দফায় দফায় বোমাবাজি চলে এই এলাকায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল ও দেওয়াল। এই ঘটনায় চার জন কম-বেশি আহত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মঙ্গলবার রাতের ঘটনার পরে বুধবার দুপুর পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। ঘটনাস্থলে রয়েছে জগদ্দল থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ন’টার পরে হঠাৎই বোমাবর্ষণ শুরু হয় নয়াবাজার ও রুস্তম গুমটি এলাকায়। এলাকাটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। পাশাপাশি লোকের বাস। এখানকার বাসিন্দারা অধিকাংশই দরিদ্র। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, একদল দুষ্কৃতী মুখে কাপড় বেঁধে এসে এলাকায় বোমাবাজি করেছে। তাঁরা কাউকেই চিনতে পারেননি। তবে এই ঘটনায় তাঁরা খুবই আতঙ্কিত। ঘটনার পরে বুধবার এলাকায় আসেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি এলাকা পরিদর্শন করে অভিযোগ করেন, “পুলিশের মদতেই এলাকায় এসব হচ্ছে। দাগি অপরাধীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এসে এ ধরনের কাজ করানো হচ্ছে। এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন প্রেসিডেন্ট সোমনাথ শ্যাম বলেন, “অর্জুন সিং নিজে বাঁচতে এলাকাকে অশান্ত করছেন।” ঘটনার সূত্রপাত মাস খানেক আগে। লকডাউন ওঠার ঠিক পরে এখানে আসেন কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিক। স্থানীয় একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করে তাঁদের রাখা হয়। ১৪ দিন পরে বেরোনোর কথা থাকলেও এলাকার লোকজন তখন অভিযোগ করেন যে ওই শ্রমিকরা নিয়ম না মেনে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তা নিয়ে এলাকার লোকের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিবাদ চরমে ওঠে। দুপক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। তখন অর্জুন সিং অভিযোগ করেছিলেন, পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে এলাকায় দাগি অপরাধীদের এনে বিজেপির দুর্গ ভাঙার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ঘটনার পরে এক মাস যেতে না যেতেই ফের উত্তপ্ত হল এলাকা। আবার বোমাবাজি হল।