শেষ আপডেট: 8th March 2020 08:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী, মালদহের পর এবার বারাসত। ফের রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে অশ্লীল শব্দ জুড়ে নাচের অভিযোগ উঠল স্কুলের ক্লাসরুমের মধ্যেই। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হওয়ার পর থেকেই তা ভাইরাল। শুরু হয়েছে বিতর্ক। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে স্কুলের ছাত্ররা ইউনিফর্ম পরে ক্লাসরুমের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে বিকৃত শব্দ জুড়ে গান করছে ও নাচছে। জানা গিয়েছে, ভিডিওতে যাদের দেখা গিয়েছে তারা সবাই একাদশ শ্রেণির ছাত্র। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান নিয়ে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিকৃত গান গাইছে তারা। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে শনিবার স্কুলে আসেন সেখানকার প্রাক্তন ছাত্ররা। তাঁরা প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিজিৎ দত্ত নামের এক প্রাক্তন ছাত্রের অভিযোগ, "এই ভিডিও দেখার পর আমরা নিজেরাই লজ্জিত। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই স্কুলের একটা সুনাম রয়েছে। সেটা আমরা নষ্ট হতে দেব না। ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধান শিক্ষককে সেটাই আমরা জানিয়েছি।" এই ঘটনার পরে মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আলি আহসান বলেন, "মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতিতে একটু ব্যস্ত আছি। তাই সোশ্যাল মিডিয়া দেখতে পারিনি। তবে এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আমরা অভিযোগ খতিয়ে দেখব। এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এর প্রভাব অন্য ছাত্রদের উপরেও পড়তে পারে।" কয়েক দিন আগেই খবরের শিরোনামে এসেছিল এই স্কুল। মাথায় বড় ও বাহারি চুলের ছাঁট থাকা ছাত্রদের উচ্চমাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড দিতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে চুল কেটে আসার পর তাদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়। সেই ঘটনা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, যে স্কুল নিজের সুনামের প্রতি এতটা নজর দেয়, সেখানে একটা গোটা ক্লাস জুড়ে জোরে জোরে এই অশ্লীল গান গাওয়া হল, নাচানাচি হল, সেটা কোনও শিক্ষকের চোখে পড়ল না। প্রধান শিক্ষকও কিছু জানতে পারলেন না। তাহলে শুধু বাইরের দেখনদারি কড়াকড়ি করে কী হবে, সেই প্রশ্নই তুলছেন তাঁরা। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বারাসতের বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের অপ-সংস্কৃতি বরদাস্ত করা যায় না। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।