শেষ আপডেট: 29th June 2020 11:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেট্রোপণ্যের লাগাতার দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে এবার প্রতিবাদে নামল কংগ্রেস। বহরমপুর সাংসদ তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর ডাকে সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে চলে অভিনব প্রতিবাদ মিছিল। বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে বের হয়ে পুরো শহর জুড়ে এই মিছিল পরিক্রমা করে। সেখানে মোটর বাইক কাঁধে নিয়ে ঘোরেন কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন অধীর চৌধুরী।
লকডাউনের ফলে যখন দেশের বহু মানুষ রোজগার হারিয়েছেন তখন লাগাতার দাম বেড়ে চলেছে পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহণ খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তার ফলে আনাজ-সহ প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। কয়েক দিন ধরেই তার বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস। এবার বহরমপুরে তারই প্রতিফলন দেখা গেল।
এদিন মিছিলের ফাঁকে অধীর চৌধুরী বলেন, “সারা ভারতের কংগ্রেস পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশজুড়ে মানুষের জীবনকে যে ভাবে দুর্বিসহ করে তুলেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হবে। প্রতিদিন পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের আজকের এই প্রতিবাদ। প্রায় বাইশ দিন হতে চলল নিয়ম করে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ছে। লাগাতার গ্যাসের দামও বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষের যখন রোজগার নেই, রুটি-রুজির সঙ্কট দেখা দিয়েছে, মানুষ কাজ হারিয়েছেন, লকডাউনে যখন বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন তখন এই অবস্থার মধ্যেও মোদী সরকার নির্দয় ভাবে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খরচ বাড়াচ্ছে।”
পরে তিনি ব্যাখ্যা করেন, চাষের জন্য কৃষকের ট্রাক্টর দরকার। তাতে জ্বালানি দরকার। অর্থাৎ কৃষির খরচ বেড়ে যাচ্ছে। যাতায়াতের জন্য ও জিনিস পরিবহণের জন্য তেল দরকার। পরিবহণ খরচ বেড়ে গেলে সব জিনিসের দাম বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, “স্বাভাবিক ভাবেই সারা ভারত জুড়ে এই যে আর্থিক হাহাকার চলছে তার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে সে হল দেশের বিজেপি সরকার। তাই তাদের বিরুদ্ধে ও এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাতে আমরা আজ পথে নেমেছি।”
এখন অনেকগুলি রুটের বাসেই যাত্রী হচ্ছে না। বাস মালিকরা রাজ্য সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েও বাস চালাতে রাজি হচ্ছেন না। এই অবস্থায় তেলের দাম বেড়ে গেলে বাস পথে নামানো নিয়ে সংশয় তৈরি হবে। বাস যখন পথে নামবে তখন ভাড়াও বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই।