শেষ আপডেট: 26th February 2020 05:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দুর্নীতির অভিযোগে জেলা সভাপতিকে অপসারণের দাবি তুললেন আসানসোলের বিজেপি কর্মীদের একাংশ। এই বিষয়ে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বাবুল। সূত্রের খবর, বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিজেপিরই একটা অংশ। তাদের অভিযোগ, দলে নিজের পছন্দের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দিচ্ছেন লক্ষ্মণ ঘড়ুই। যাদের তিনি পছন্দ করেন না, তাদের দল থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে সেখানে বিজেপির সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দুর্নীতি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ কলকাতা থেকে আসানসোলে যান বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর মহিশীলা কলোনির ফ্ল্যাটে পৌঁছলে আবাসনের বাইরেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ ও প্রতিমন্ত্রী। কর্মীদের অভিযোগ, লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের দুর্নীতির ব্যাপারে তাঁরা অনেকবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তারপরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আসানসোল ও দুর্গাপুরকে দুটি আলাদা সাংগঠনিক জেলা করারও দাবি জানান বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ কর্মীদের উদ্দেশে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, এখন মাধ্যমিক চলছে। এভবে চিৎকার করলে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা হবে। তিনি সবাইকে বুধবার তাঁর অফিসে আসতে বলেছেন। তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন বাবুল। একথা বলার পরেই বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন বলে খবর। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে বাবুল বলেন, “আসানসোল ও দুর্গাপুরকে দুটো আলাদা সাংগঠনিক জেলা করার কথা চলছিল। কিন্তু এখন জানা গিয়েছে, সেটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাই লোকসভা নির্বাচনের সময় যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদেরকেই সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের উপর দল আসস্থা রেখেছে। তবে কিছু কর্মীর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁরাই আজ আমাকে তা বলতে এসেছিলেন। আমি বলেছি এত রাতে হট্টগোল করলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা হতে পারে। কাল আমার অফিসে সবাইকে আসতে বলেছি। তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।”