শেষ আপডেট: 21st September 2020 13:07
দ্য ওয়াল ব্যুরোঃ করোনা সংক্রমণের মধ্যেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা ইউজিসি। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বেশ কিছু রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও দেশের শীর্ষ আদালত ইউজিসির পক্ষেই রায় দেয়। যদিও তারপরেও পরীক্ষার সময় নিয়ে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। অবশেষে ইউজিসির গাইডলাইন মেনে কলেজগুলিকে নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জানানো হয়েছে, আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে পরীক্ষা। সোমবার ১৫২টি কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে হবে পাস এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় সীমা ২ ঘণ্টা। প্রশ্নপত্র ডাউনলোড ও উত্তরপত্র আপলোড করার জন্য ১৫ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার জন্য মোট আড়াই ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষপাতি ছিল না বেশিরভাগ রাজ্য। তাই ইউজিসি পরীক্ষার কথা ঘোষণা করতেই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা জানায়, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া মানে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই আগের সেমেস্টারের পরীক্ষা কিংবা ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্টের নম্বরের ভিত্তিতে ফাইনাল ইয়ারের নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সুপ্রিম কোর্টের তরফে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়, পরীক্ষা নিতেই হবে। বিনা পরীক্ষায় কাউকে পাশ করানো হবে না। ইউজিসির নিয়ম মেনেই পরীক্ষা নিতে হবে। শিক্ষ দফতরের সঙ্গে কথা বলেই পরীক্ষার সূচি ঠিক করতে হবে। তারপরেই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলি জানায়, অনলাইনেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, পরীক্ষার্থীদের ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠানো হবে পরীক্ষাপত্র। উত্তর লিখে তা জমা দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে। যারা অনলাইনে উত্তর জমা দিতে পারবে না, তারা হার্ড কপি জমা দেবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রস্তাব ইউজিসিতে পাঠানো হলে ইউজিসি জানায়, পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া যাবে না। ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। ইউজিসির এই গাইডালাইনের পরেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজগুলির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়, আড়াই ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। অবশ্য এই নির্দেশের পরেও উঠছে প্রশ্ন। গ্রামীণ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সবার বাড়িতে যে অনলাইনেই পরীক্ষার সব ব্যবস্থা থাকবে, সেটা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। এইরকমের সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে আসার জন্য কর্মীদের ব্যবস্থা রাখতে হবে কলেজগুলিকে। তবে সেটা কাজে পরিণত করা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।