শেষ আপডেট: 15th February 2020 08:23
৪৬ বছরেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ, ক্ষুব্ধ চাষিদের নিয়ে প্রশাসনের বৈঠক বর্ধমানের ভাতারে
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সড়ক নির্মাণের জন্য চাষিদের থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। তারপরে ৪৬ বছর কেটে গেছে তবে আজও ক্ষতিপূরণ পাননি জমিদাতাদের একাংশ। অভিযোগ এমনই। ক্ষতিপূরণের দাবিতে ক্ষুব্ধ চাষিরা শুক্রবার সকালে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কুবাজপুর মোড়ে সামন্তী রোড অবরোধের তোড়জোড় শুরু করে দেন। ভাতার থানার ওসির অনুরোধে অবশ্য অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হয়।
অবরোধ কর্মসূচি বাতিল করার পরে চাষিদের সঙ্গে ভাতার থানায় বৈঠকে বসেন ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় ও ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে চার দশকের বেশি কেটে গেলও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় বিডিওর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন চাষিরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আট দিন সময় নেওয়া হয়েছে।
১৯৭৪ সালে ভাতারের সামন্তী রোড তৈরি হয়েছিল। ভাতারের দমকল অফিসের সামনে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক থেকে শুরু হয়ে রাস্তাটি কুড়মুনের কাছে বর্ধমান-নবদ্বীপ রোডে মিশেছে । সামন্তী রোড থেকে একটি লিঙ্ক রোডও বেরিয়েছে। কুবাজপুর তেমাথা বাজার থেকে শুরু হয়ে খেড়ুর-ছাতনি বাসস্ট্যাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ওই লিঙ্ক রোডটি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভাতার থেকে হাঁড়গ্রাম ও কুবাজপুর মোড় থেকে কুড়মুন হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত রাস্তার জন্য যে সমস্ত চাষির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। হাঁড়গ্রামের শেষ সীমানা থেকে কুবাজপুর মোড় ও কুবাজপুর তেমাথা বাজার থেকে খেড়ুর-ছাতনী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তার জন্য অধিগৃহীত জমির চাষিরা অবশ্য আজ পর্যন্ত কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি।
স্থানীয় গ্রামবাসী তারক চট্টোপাধ্যায়, দেবদূত রায়, শেখ ইউসুফরা জানিয়েছেন, ভাতার সামন্তী রোড তৈরি হয় ১৯৭৪ সালে। সেজন্য ছ’টি গ্রামের চাষিদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। মোট ২৭৮ জন চাষির ৪৫.১৫২ একর জমির ক্ষতিপূরণ বকেয়া রয়েছে।
ক্ষুব্ধ চাষিদের অভিযোগ, এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও বারবার দরবার করা হয়েছে কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি।