শেষ আপডেট: 24th June 2020 08:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় গভীর রাতে বোমায় হাতের আঙুল উড়ে গেল এক দুষ্কৃতীর। সকাল বেলা খবর চাউর হতে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতীর শরীর থেকে ছিন্ন হয়ে যাওয়া আঙুলের অংশ পড়ে থাকেন দেখেন এলাকার লোকজন। তাতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাতের বেলা বোমার শব্দ হওয়ার পরে কয়েক জনকে পালিয়ে যেতে দেখেন এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে আসে জগদ্দল থানার পুলিশ। তারা রাস্তার উপরে হাতের আঙুলের শিরা পড়ে থাকতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি কোথায় পালিয়ে গেল তা খোঁজ করছে পুলিশ। এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাইকে চেপে একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সেখানে আসে। মাঝরাতে এলাকায় তাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। ভয়ে লোকে বাড়ি থেকে বের হননি। বোমা ফাটার পরে দুষ্কৃতীরা বাইকে চড়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। তারা কোথা থেকে এসেছিল, কেন এসেছিল এবং কোথায় গেল তা জানার চেষ্টা করছে জগদ্দল থানার পুলিশ। এলাকার বাসিন্দা সমীর দত্ত বলেন, “রাতের দিকে আমি দুবার বোমা ফাটার শব্দ পাই। দেখি আমার বাড়ির সামনেই বোমা পড়েছে। আমি আর তখন বের হইনি। বাড়ির উপর থেকে দেখি কয়েক জন লোক রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। অন্ধকার থাকায় বুঝতে পারিনি কারা ঘোরাফেরা করছে। তারপরে দেখলাম দুটো মোটরসাইকেল পূর্ব দিকে চলে গেল। এখন যা অবস্থা তাতে এলাকার মানুষ খুব আতঙ্কিত। রাতে কেউ বেরোতে সাহস পায়নি। সকাল বেলায় দেখি মহিলারা জটলা করছেন।” এই এলাকায় সিসিটিভি না থাকায় প্রমাণ জোগাড় করতে সমস্যা হচ্ছে পুলিশের। তবে শ্যামনগর স্টেশন রোডে যে সব সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে পুলিশ তার ফুটেজ জোগাড় করছে। এখনও কাউকে পুলিশ ধরতে পারেনি। জগদ্দল থানা ভাগ হয়ে যাওয়ার ফলে এই অঞ্চলে সমস্যা শুরু হয়। ভাটপাড়া ফাঁড়িকে থানায় পরিণত করার পরে সেখানে বেশি পুলিশ কর্মী দেওয়া হয়। ভাটপাড়া অঞ্চলে নিত্য সমস্যা লেগে থাকায় সেখানে গাড়ির সংখ্যা বেশি, জগদ্দল থানায় গাড়ির সংখ্যাও কম। এই এলাকাটি জগদ্দল থানা থেকে বেশ কিছুটা দূরে। রাতের দিকে পুলিশি টহল থাকে না বললেই চলে। এলাকাটি কল্যাণী রোড ও ঘোষপাড়া রোডের মাঝামাঝি জায়গায় হওয়ায় দুষ্কৃতীরা এখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যেতে পারে। অন্য থানা এলাকায় তারা ঢুকে পড়লে তখন ধরাও মুশকিল হয়ে যায়।