শেষ আপডেট: 8th August 2020 01:43
কুলটির হেজলাপিটে মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার, এলাকায় উত্তেজনা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিন দিন নিখোঁজ থাকার পরে শনিবার সকালে কুলটি থানার হেজলাপিটে উদ্ধার হল এক মহিলার দেহ। তাঁর নাম গৌরীদেবী কেওট। বয়স ৫৭ বছর। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর ছেলে। হেজলাপিটে ছাইঢিপ এলাকায় একটি খেলার মাঠের পাশে বনের মধ্যে দেহটি পড়ে দেখা যায়। সেটিতে পচন ধরে গিয়ে দুর্গন্ধ ছাড়ছিল। বাড়ির লোকজন আশঙ্কা করছেন তাঁকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পরে চতুর্থ দিন দেহ খুঁজে পাওয়া গেল বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। গৌরীদেবীর ছেলে বীরেন্দ্র কেওট জানান, তাঁদের ছাগলের ব্যাবসা আছে। এখন ছাগলের সংখ্যা ২০টি। প্রত্যেকদিন সেই সব ছাগল নিয়ে মাঠে চরাতে যেতে হয়। তিন দিন আগে অর্থাৎ বুধবার মাঠে ছাগল চরাতে গিয়ে তাঁর মা নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর সঙ্গে থাকা দুটি ছাগলও আর পাওয়া যায়নি। গৌরীদেবী দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় বীরেন্দ্র তাঁর পাড়ার ছেলেদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাকে খোঁজেন। ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোথাও তাঁর খোঁজ পাননি। পরের দিন তিনি কুলটি থানায় গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। বীরেন্দ্র জানিয়েছেন তিনি তাঁর মা ও স্ত্রী এক সঙ্গে থাকতেন। দিন কয়েক আগে কয়েক জন লোক তাঁদের কাছে ছাগল কিনতে আসেন। তখন দাম নিয়ে তাঁর মায়ের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা হয়েছিল। তার পর থেকেই মা নিখোঁজ হয়ে যান। বনবাদাড়েও তাঁরা তল্লাশি করেছেন কিন্তু খুঁজে পাননি। এত দিন পরে তাঁর দেহ পাওয়া গেল। বীরেন্দ্রর অভিযোগ, ছাগল কিনতে আসা লোকজনের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ার পরে এই ঘটনা। তাঁর অনুমান ওই লোকেরাই তাঁর মাকে মেরে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়ে ছাগল নিয়ে চলে গেছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বীরেন্দ্রর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আসানসোল কমিশনারেট এলাকায় সম্প্রতি অপরাধ বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ। দেশজোড়া লকডাউন শুরু হওয়ার পরে অপরাধের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও আবার তা উঠতে শুরু করেছে। এদিন পূর্ব বর্ধমানেও এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। সেক্ষেত্রেও খুনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।