শেষ আপডেট: 3rd July 2020 09:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: সরকারি নিদের্শিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বারাসতের বেসরকারি নারায়ণা স্কুলের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সিংহভাগ বেতন কমানোর অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায় সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে চার জন শিক্ষককে।
সাসপেন্ড হওয়া চার শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্কুলের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। স্কুলের গেটের বাইরে তাঁরা আমরণ অনশনে বসেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় তাঁরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অবস্থান করতে থাকেন। এই অবস্থার মধ্যেও অবশ্য স্কুলের চার জন শিক্ষককে সাসপেন্ড করা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা যা করেছেন সবই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করেছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের নারায়ণা স্কুলে লকডাউন পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা তাঁদের বেতনের বড় অংশ কমানোর প্রতিবাদ করেছিলেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে তাঁদের হয়ে কথা বলেছিলেন চার জন। তার পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সাসপেন্ড করার কথা জানিয়ে দেয়। অর্পণ দে নামে বহিষ্কৃত এক শিক্ষক বলেন, “ফোন করে আমাদের জানানো হয়েছে, ‘তোমাদের ড্রপ করা হচ্ছে।’ লিখিত কোনও কিছু দেওয়া হয়নি। আমাদের বেতন কমানোর পরে একাধিক ক্লাস একসঙ্গে করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা তার প্রতিবাদ করি। আমাদের বেতন কমানোর পরেও আমরা মেনে নিয়েছিলাম কিন্তু স্কুল তো ছাত্রছাত্রীদের থেকে পুরো টাকাই নিচ্ছে।”
[caption id="attachment_236044" align="aligncenter" width="823"]
পুরনো দাবি আবার নতুন করে উঠছে।[/caption]
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী করোনা মোকাবিলার সময়ে যখন লকডাউন চলছে (বর্তমানে আনলক পর্যায় শুরু হয়ে গেছে) তখন কারও বেতন কাটা যাবে না এবং কাজ থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। এব্যাপারে মানবিক হওয়ার আবেদনও করা হয়। কলকারখানায় অনেক জায়গাতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় সেখানে পুরো বেতন দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিংয়ে পর্যটন বন্ধ থাকায় সেখানে বেতনের ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্কুলগুলি ছাত্রছাত্রীদের থেকে বেতন নিচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা বাড়িয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় বারাসতের নারায়ণা স্কুলে শুধু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের শুধু বেতন কমানো হয়নি তার পাশাপাশি চার জনকে ছাঁটাই করারও অভিযোগ উঠেছে।
[caption id="attachment_236045" align="aligncenter" width="919"]
সমস্যার কথা আগেই জানিয়েছেন জেলাশাসককে।[/caption]
বহিষ্কৃত শিক্ষকরা অবস্থানে বসেছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যাবেন। তাঁদের সমস্যার কথা গত মাসেই জেলাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।