শেষ আপডেট: 22nd July 2020 10:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার টানা সাত দিন লকডাউন ঘোষণা করল বারাসত পুরসভা। শনিবার থেকে পুর এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে। আগামী ২৫ জুলাই শনিবার থেকে ৩১ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত সাত দিন সম্পূর্ণ লকডাউন করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল বারাসত পুরসভা। বুধবার পুরসভা ভবনে একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ডাকা হয় পুলিশ-প্রশাসনকেও। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বারাসত পুরসভায় ৩৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই সাতদিন প্রতিটি ওয়ার্ডই সম্পূর্ণ লকডাউন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফ থেকে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও জরুরি পরিষেবাকে অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাজারহাট সব কিছুই বন্ধ থাকবে। জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকজনও রাস্তায় বের হতে পারবেন না। পুলিশ প্রশাসনকে বলে দেওয়া হয়েছে, কেউ অযথা বাইরে বেরোলে তাঁকে রাজ্যের স্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী যেন গ্রেফতার করা হয়। এই আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে হতে পারে জেল ও জরিমানা দুটোই। যে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি কর্মী বারাসত পুরসভা এলাকায় বসবাস করেন তাঁদের স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে শংসাপত্র নিতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তাঁরা এই সাত দিন অফিস থেকে ছুটি নিতে পারবেন। অফিসগুলিকেও তাঁদের ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। বারাসতের পুর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় জানান, এই সাত দিন বন্ধ থাকবে অটো ও টোটো সহ সমস্ত যান চলাচল। সর্বদলীয় বৈঠকে ইতিমধ্যেই সিলমোহর দিয়েছে মহকুমা উপজেলা প্রশাসন। এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের তিন শরিক সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিআই-এর প্রতিনিধিরা। এছাড়াও বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ক্রমেই যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তখন বারাসতের বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি হল সেফ হোম। বারাসত পুরসভার উদ্যোগে ৩০টি শয্যা বিশিষ্ট এই সেফ হোমের কাজ শুরু হল বুধবার থেকে। পরে আরও ২০টি শয্যা যোগ করে এটিকে ৫০ শয্যার সেফ হোম করা হবে। যাঁরা করোনা ভাইরাস সংক্রামিত অথচ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না মূলত তাঁদেরই এখানে রাখা হবে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি এবং থাকার জায়গা কম তাঁরা এই হোমের থাকার অগ্রাধিকার পাবেন। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে বিনা পয়সায় চিকিৎসা – সব কিছুর ব্যবস্থা এখানে করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। পুরুষ ও মহিলাদের থাকার পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের স্বাস্থ্য দফতরের সদস্য চম্পা দাস বলেন, “যে ভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হচ্ছে তাতে পুরসভার এই উদ্যোগকে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন।”