শেষ আপডেট: 3rd August 2020 10:37
আসানসোলের রেলের অফিসে করোনার থাবা, কোয়ারেন্টাইনে ৩৪ জন
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: করোনার থাবা এবার পূর্বরেলের আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম অফিসেও। এই অফিসের ৩৪ জন কর্মীকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে সোমবার। সূত্রের খবর, কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন অ্যাসিসট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত। রেলের উচ্চপদস্থ কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কা ছড়িয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। কারণ সেখান থেকেও অনেকেই এই অফিসে আসেন কাজের সূত্রে।
পূর্বরেলের আসানসোল ডিভিশনে রেলের সবচেয়ে বড় অফিসে এখন করোনার আশঙ্কা। অ্যাসিসট্যান্ট কমার্শিয়াল ম্যানেজার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর ছড়ানোর পরেই শঙ্কিত অফিসের বেশিরভাগ লোক। তাঁর সঙ্গে গত কয়েক দিন যাঁরা বৈঠক করেছেন বা অন্য ভাবে সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৩৪ জন কর্মীকে আগামী ১৮ অগস্ট পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব রেলওয়ের আসানসোল ডিভিশনের প্রধান কার্যালয়ে কর্মীরা আসেন পানাগড় থেকে জসিডি পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে। ফলে বিগত কয়েক দিন যাঁরা এখানে এসেছেন রেলের কাজের সূত্রে তাঁরাও এখন ভীত হয়ে পড়েছেন।
আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ক্রমেই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারও। বেশ কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মীও আক্রান্ত। যদিও এই অবস্থার মধ্যেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়ে পশ্চিম বর্ধমানের দুই মহকুমা আসানসোল ও দুর্গাপুর থেকে আংশিক লকডাউন ১ অগস্ট তুলে নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমানে এখনও পর্যন্ত ৯৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ জন। ১১ জন সুস্থ হয়ে ওঠায় জেলায় মোট ৫৮৫ জন এখন করোনামুক্ত হয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত জেলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৩৮৬ জন করোনার জন্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
[caption id="attachment_246509" align="aligncenter" width="700"] মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।[/caption]
করোনার সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলেও এখনও অনেকেই রাস্তায় বের হচ্ছেন কোনও রকম মাস্ক ছাড়াই। সচেতনতামূলক প্রচারে তাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সোমবার রাখির দিন পুলিশ প্রশাসন থেকে মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়। এডিপিসি কৈলাশপতি মাহাতর নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা রাস্তায় বিনা মাস্কে বাইরে বের হওয়া লোকজনকে মাস্ক পরিয়ে দেন। কৈলাশপতি মাহাত বলেন, “রাখির দিনে বোনেরা ভাইদের রাখি পরান। ভাই বিনা মাস্কে বাইরে বেরিয়ে তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে গেলে তখন তাঁদের কে রক্ষা করবে? তাই রাখির চেয়ে এখন বেশি প্রয়োজন মাস্কের সুরক্ষা। এই কারণে রাখির দিন যত জন বিনা মাস্কে বা রুমাল বেঁধে বেরিয়েছেন তাঁদের সবাইকে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।”