শেষ আপডেট: 26th August 2020 03:31
নিট-জয়েন্ট রুখতে সনিয়া-মমতার ডাকে ভার্চুয়াল বৈঠক আজ, এককাট্টা বিরোধীরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ আহ্বানে আজ, বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠক করতে চলেছেন একাধিক অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকের উদ্দেশ একটাই, কোভিড পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হোক সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা। জানা গিয়েছে মমতা তো বটেই, ওই বৈঠকে পাঞ্জাব, ছত্তীসগড়, পুদুচেরির মতো একাধিক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুপুর আড়াইটের সময় অনুষ্ঠিত হতে চলা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। যদিও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন বা কেরলের পিনারাই বিজয়ন কী করবেন এ ব্যাপারে বুধবার সকাল পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কয়েক দিন ধরেই মমতা জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা স্থগিতের দাবিতে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে টুইটও করেছেন তিনি। কিন্তু তারপর গতকাল মঙ্গলবার প্রেস বিবৃতি জারি করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি তথা এনটিএ জানিয়ে দেয়, সেপ্টেম্বরেই হবে পরীক্ষা। আর স্থগিত করার কোনও অবকাশ নেই। এনটিএ জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা মতো ১-৬ সেপ্টেম্বর হবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা। এবং ১৩ সেপ্টেম্বর হবে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা। পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তীব্র কোন্দলের ছবি সামনে এসেছিল সোমবার। অনেক নাটকের পর শেষপর্যন্ত আরও ছ’মাসের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনিয়া। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরস্থিতিতে বিজেপি যাতে বাড়তি সুবিধা না পায় সে ব্যাপারে বিরোধীদের এক্কাট্টা করতেই মমতার সঙ্গে এই যৌথ বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। যা সাম্প্রতিক কালে খুব একটা দেখা যায়নি। মমতা-সনিয়ার বৈঠকে যোগ না দিলেও ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকারও জেইই ও নিট নিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। বিহারেও এনডিএ-এর বিভিন্ন শরিকদলের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে বলে খবর। যদিও কেন্দ্রের তরফে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক জানিয়েছেন, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের চাপেই এই পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা নিট পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল-মে মাসেই হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষাবিধির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল, সব পরীক্ষাই হবে জুলাইতে। জয়েন্ট পরীক্ষার দিন ফেলা হয়েছিল ১৮ থেকে ২৩ জুলাই এবং নিট পরীক্ষার দিন ঠিক হয়েছিল ২৬ জুলাই। কিন্তু, জুলাই মাসেও দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরীক্ষা ফের পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ঠিক হয় সেপ্টেম্বরে ১-৬ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন ছাত্র ও তাঁদের অভিভাবকরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণে এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। সেদিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”