শেষ আপডেট: 25th August 2020 04:30
জয়েন্ট-নিট সেপ্টেম্বরেই, আগের সূচিতেই পরীক্ষা, জানিয়ে দিল এনটিএ
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তাহ দুয়েক আগেই সূচি ঘোষিত হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেও অনেকে দাবি জানাচ্ছিলেন, সর্বভারতীয় জয়েন্টের ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিত করা হোক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালও এ নিয়ে জোড়া টুইট করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার প্রেস বিবৃতি জারি করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি তথা এনটিএ জানিয়ে দিল, সেপ্টেম্বরেই হবে পরীক্ষা। আর স্থগিত করার কোনও অবকাশ নেই। এনটিএ জানিয়েছে, পূর্ব ঘোষণা মতো ১-৬ সেপ্টেম্বর হবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা। এবং ১৩ সেপ্টেম্বর হবে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষা কেন্দ্র সংক্রান্ত নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল আগেই। তারপর গত ২১ অগস্ট কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক আরও কিছু আবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়। মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল স্পষ্ট করে বলেন, সাড়ে ছ’লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে ফেলেছেন। এখন আর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বা নিট পরীক্ষা সাধারণত এপ্রিল-মে মাসেই হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষাবিধির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল, সব পরীক্ষাই হবে জুলাইতে। জয়েন্ট পরীক্ষার দিন ফেলা হয়েছিল ১৮ থেকে ২৩ জুলাই এবং নিট পরীক্ষার দিন ঠিক হয়েছিল ২৬ জুলাই। কিন্তু, জুলাই মাসেও দেশজুড়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পরীক্ষা ফের পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ঠিক হয় সেপ্টেম্বরে ১-৬ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৩ সেপ্টেম্বর ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ১১ জন ছাত্র ও তাঁদের অভিভাবকরা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন থমকে থাকবে না। স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের কারণে এমনিতেই ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাদের আরও একটা বছর নষ্ট হবে। সেদিকটা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সেই মতই পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল এনটিএ।