বাংলার সিপিএম কর্মীদের উদ্যোগে বেঙ্গালুরুতে 'জনতার বাজার', বস্তিতে বিলি হবে এক সপ্তাহের সব্জি

শোভন চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুর সিপিএমে বাংলা মডেল! সেই লকডাউন পর্বের শুরু থেকে বাংলায় প্রায় সব জেলাতেই কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছেন বামেরা। কোথাও ছাত্র-যুব সংগঠন এসএফআই-ডিওয়াইএফআই, কোথাও আবার সরাসরি সিপিএম। বহু জায়গায় 'জনতা বাজার' নাম দিয়ে সবজিও বিলি করছেন তাঁরা। এবার সেই কর্মসূচি হতে চলেছে কর্ণাটকে। সিপিএমের বেঙ্গালুরু উত্তর জেলা কমিটি বিরাট একটি বস্তি এলাকায় ঘরে ঘরে সব্জি বিলি করবে। আর গোটাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন চাকরি সূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকা বাংলার পাঁচ জন তরুণ সিপিএম কর্মী। খড়দহের ধীমান সাউ, গোবরডাঙার নবনীতা রায় হাওড়ার মনসিজ রায়চৌধুরী, উত্তর কলকাতার দীপাঞ্জন চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ কলকাতার সুমিত তালুকদার। মূলত এঁদের উদ্যোগেই এই কর্মসূচি নিয়েছে বেঙ্গালুরুর সিপিএম। আগামী সপ্তাহে বেঙ্গালুরুর কুন্দনাহল্লি বস্তিতে কয়েকশ পরিবারের কাছে সাত দিনের সব্জি পৌঁছে দেবেন চাকরি সূত্রে বাংলা থেকে বেঙ্গালুরুতে যাওয়া তরুণ সিপিএম কর্মীরা। তবে পুরোটাই হবে সিপিএমের উত্তর জেলা কমিটির নামে। সিপিএম কর্মী ধীমান বলেন, "লকডাউনের শুরু থেকেই ভারতীয় জ্ঞান বিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি চলছিল। এবার সেটা পার্টির নামে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমাকে তো দলের কর্ণাটক রাজ্য কমিটির নেতারা মজা করে বলছেন, "তোরা তো দেখছি এখানে বেঙ্গল মডেল শুরু করে দিয়েছিস।" তবে উদ্যোগী সিপিএম কর্মীরা সতর্কও রয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি ওই এলাকার কর্মসূচিতে সমস্যা করতে পারে তাই সমস্ত রকম সাবধানতা রেখেই ঘরে ঘরে সব্জি বিলি করা হবে। তাঁরা জানিয়েছেন, জনতাকে তুলে দেওয়া বাজারের ব্যাগে থাকবে আলু, কুমড়ো, পেঁয়াজ, রসুন, সিম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, বেগুন, পেঁপে, চাল কুমড়ো-সহ অন্যান্য সব্জি। ডিমও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমনিতে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বামেরা কেরল মডেলকে প্রচারে তুলে ধরতে চেয়েছে। আর কোথাও সেই সুযোগ নেই। কারণ ত্রিপুরাতেও আর বামেদের সরকার নেই। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে যে এমন বেঙ্গল মডেল হবে তা বোধহয় অনেকেরই আন্দাজের মধ্যে ছিল না। বাংলার ছেলেমেয়েদের এমন উদ্যোগ দেখে উচ্ছ্বসিত সিপিএম নেতারাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কর্মসূচির প্রচারের জন্য বাংলায় লেখা পোস্টারও ছড়ানো হয়েছে।