শেষ আপডেট: 30th October 2019 11:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলবার ভাইফোঁটার দুপুরে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দিদির কালীঘাটের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। যা নিয়ে উৎসবের মধ্যেও আন্দোলিত হয়ে গিয়েছে বাংলার রাজনীতি। শোভনের কপালে দিদির ফোঁটা দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটল না, বেহালার রাজনীতির মাঠ দখলে রাখতে নেমে পড়লেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এই ওয়ার্ডের এখনও কাউন্সিলর শোভনবাবু। কিন্তু দীর্ঘদিন পুরসভার কাজের সঙ্গে তাঁর যোগ নেই। গত বছরই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বলে দেওয়া হয়েছিল, এই ওয়ার্ডের কাজকর্ম রত্নাকে দেখার জন্য। দেখা গেল ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে এদিনই অতীন ঘোষ চলে গিয়েছেন পর্ণশ্রীতে।
যদিও রত্না বলছেন, এর সঙ্গে ভাইফোঁটার দুপুরের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর কথায়, “এই ওয়ার্ডে অনেকের ডেঙ্গি হয়েছিল। আমি গোটা ওয়ার্ড ঘুরে জল-জঙ্গলের জায়গাগুলি চহ্নিত করি। তারপর কালীপুজোর দিন সন্ধেবেলা দিদির বাড়িতে অতীনদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখন বলেছিলাম, তুমি একবার এসো না! গতকাল বিকেলে আমায় অতীনদা ফোন করে বললেন, আজ আসবেন।”
শোভনের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রত্নাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। তৃণমূলনেত্রী পার্থ চট্টয়াপধ্যায়কে ডেকে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, “রত্নাকে দিয়ে কাজ করান।” তারপর থেকে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতেন রত্নাই। বকলমে তিনিই কাউন্সিলর। ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের আগে এলাকার মোড়ে মোড়ে বক্তৃতা দিয়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, যেই শোভন-তৃণমূল দূরত্ব কমার ইঙ্গিত মিলছে, ওমনি রত্না যেন বাড়তি তৎপর হয়ে উঠলেন।
বৈশাখীর সঙ্গে শোভনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বেহালার পর্ণশ্রীর চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সাংসারিক অশান্তি রাস্তায় নেমে এসেছে অনেক দিন আগেই। শোভনবাবু বাড়ি ছেড়েছেন। রত্নার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এর মধ্যে শোভন-বৈশাখী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রত্না কার্যত ফাঁকা মাঠ পেয়ে গিয়েছিলেন বেহালায়। কিন্তু হাওয়া ঘোরার ইঙ্গিত পেয়েই রত্না যেন জমি দখলে রাখতে মরিয়া।
পড়ুন ‘দ্য ওয়াল’ পুজো ম্যাগাজিন ২০১৯ -এ প্রকাশিত গল্প