শেষ আপডেট: 15th November 2019 02:31
প্রেসিডেন্সির বিজয় মিছিলে বিপুল ভিড়, ক্ষমতা নয় দায়িত্ব পেয়েছি, বলছে সতর্ক এসএফআই
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্রিগেডের ময়দানে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একবার বলেছিলেন, "আমরা ২৩৪, ওরা ৩০!" অনেকেই বলেন বুদ্ধবাবুর ওই কথায় আসলে বেরিয়ে পড়েছিল বাম ঔদ্ধত্য। ৯ বছর পর প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ হতে এসেছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন তথা এসএফআইয়ের। তারপরই যেন সতর্ক সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। এসএফআইয়ের কলকাতা জেলার সম্পাদক সমন্বয় রাহা বলেন, "আমরা প্রেসিডেন্সির ক্ষমতা পাইনি। ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সংগঠনকে ছাত্র সংসদ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা সেটাই পালন করব।" প্রেসিডেন্সি জয় উপলক্ষে শুক্রবার মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। আর সেই মিছিলে জনস্রোত বইল কলেজ স্ট্রিট, সূর্যসেন স্ট্রিটে। পা মেলালেন বহু প্রাক্তনীও। অনেকদিন বাদে, বহু ছাত্র আন্দোলনের সাক্ষী বই পাড়ার আকাশে উড়ল লাল আবির। আড়াই বছর পর কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ ভোট হল। আর সেই ভোট রাজ্যের অন্যতম উৎকর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ক্লাস রিপ্রেসেন্টেটিভ ভোটে একক বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন হয়েছে এসএফআই। ১১৫টি ক্লাস রিপ্রেসেন্টেটিভ আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে এসএফআই এবং আইসি বেশ কয়েকটিতে আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৫৮টি আসনে জিতে গিয়েছে এসএফআই প্রার্থীরা। আইসি জিতেছে ৫২টিতে। সেন্ট্রাল প্যানেলেও সভাপতি, সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক এবং গার্লস কমনরুম সম্পাদক পদের সবকটিতেই জিতে গিয়েছেন এসএফআই প্রার্থীরা। কিন্তু অদ্ভুত ভাবেই প্রেসিডেন্সির ভোটে অদৃশ্য বাংলার শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। ২০১০-এর ভোটেও পাঁচটি ক্লাসে প্রার্থী দিয়ে তিনটি আসন জিতেছিল টিএমসিপি। সেটা বাম জমানার শেষ বছর। কিন্তু এখন তৃণমূল সরকারে থাকলেও কোনও এক অদৃশ্য কারণে ভোটের ময়দানেই নেই টিএমসিপি। শাসক দলের একাংশের দাবি, তৃণমূলপন্থী ছাত্রদের মধ্যে তিনজন ক্লাস রিপ্রেসেন্টেটিভ ভোটে জিতেছেন। যদিও তারা কেউই টিএমসিপি-র ব্যানারে লড়েননি।