দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: একা মিহিরে রক্ষে নেই, সঙ্গী আরও চার!
জেলা কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের ৫ বিধায়ক। এই ঘটনায় সাড়া পড়ে গেল কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে।
বিক্ষুব্ধদের নিয়ে ইতিমধ্যেই জেরবার কোচবিহারের জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবারের বর্ধিত জেলা কমিটির বৈঠকেও জিইয়ে রইল সেই কাঁটা। দলের ব্লক কমিটি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে অক্টোবরের গোড়ায় দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কোচবিহারের দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ইতিমধ্যে বিজেপি সংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠকের খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপরেই রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁর বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। কিন্তু তাঁদের সাথে দেখা হয়নি মিহিরবাবুর। বিদ্রোহী বিধায়কের বাড়ি থেকে জানানো হয় তিনি রয়েছেন আলিপুরদুয়ারে তাঁর দিদির বাড়িতে। সেখানেও যান দুই মন্ত্রী। কিন্তু সেখান থেকেও তাঁদের খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়। আলিপুরদুয়ারে গিয়ে রবি, বিনয় জানতে পারেন মিহির চলে গিয়েছেন অসমে, আর এক বোনের বাড়ি।
এই ঘটনার পর এদিনের বৈঠকে মিহিরবাবু যে উপস্থিত থাকবেন না তা একরকম ধরেই নিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু বাস্তবে দলের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন, নাটাবাড়ির বিধায়ক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক ফজল করিম মিয়াঁও। স্বভাবতই বৈঠকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এদিন জেলার ২২ টি ব্লকের মধ্যে ৭ টি ব্লক কমিটি ঘোষণা করেন দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।
কোচবিহারের দলের ৮ বিধায়কের মধ্যে ৫ জনের অনুপস্থিত থাকার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানান, বিধায়কদের সবাইকেই বৈঠকের কথা জানানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচজন বিধায়ক কেন অনুপস্থিত রইলেন তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।’’
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলেন, সেই পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই কোচবিহার তৃণমূলে ভাঙন শুরু। লোকসভায় কার্যত পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। একুশের আগে যেন আরও তথৈবচ অবস্থা জেলা সংগঠনে ।