শেষ আপডেট: 27th August 2020 02:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত বারাসাত হাসপাতাল চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না দাসকে নিয়ে বারাসাত হাসপাতালে আসেন স্বামী বিশ্বজিৎ। সোদপুর ঘোলার কাজিপাড়ার বাসিন্দা রত্না তখন প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অন্তঃসত্ত্বার স্বামীর কথায়, তাঁর স্ত্রীর প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকায় হাসপাতালের ভিতর থেকেই পাশের কোনও রোগী বা তাঁর বাড়ির লোকের ফোন থেকে স্বামীকে ডেকে পাঠান তিনি। বিশ্বজিতের অভিযোগ তিনি ভিতরে যেতে গেলে তাঁকে বাধা দেন গেটের রক্ষী।
মৃতার পরিবার জানিয়েছে, দুপুরের দিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় রত্নাকে। বলা হয় সিজার হবে। ওটিতে একটি ইনজেকশনও দেওয়া হয় রত্নাকে। পরিবারের অভিযোগ, এরপরেই হাসপাতালের তরফে তাদের জানানো হয় যে রোগীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে। আইসিইউতে শিফট করা হবে। এরপর সন্ধেবেলা পরিবারকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। বাঁচানো যায়নি বাচ্চাটিকেও। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিমেষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, মৃতার একটি ন'বছরের মেয়ে রয়েছে।
মৃতার স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর সঠিক চিকিৎসাই হয়নি। সে জন্যই মারা গিয়েছে মা ও সন্তান। রত্নাদেবীর স্বামী বিশ্বজিতের আরও অভিযোগ, "কোনও রকম পরীক্ষা না করেই ওকে ওটিতে নিয়ে গেল। তারপর ইনজেকশন দিল। এই ইনজেকশনের জন্যই যত গন্ডগোল। আমার স্ত্রী-সন্তান দুপুরেই মারা গেছে। হাসপাতাল আমাদের সন্ধ্যায় জানিয়েছে। কারণ দুপুর তিনটে নাগাদ মৃত্যু না হলে রত্নার দেহ ওভাবে শক্ত-ঠান্ডা নীল হয়ে যেত না। সুপার থেকে ডাক্তার সবাই মিথ্যে কথা বলেছে।"
ইতিমধ্যেই বারাসাত থানায় এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। বারাসাত হাসপাতালের সুপার এবং কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির পাশাপাশি রোগীর মৃত্যুর সঠিক সময় না জানানোর অভিযোগে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। তাদের দাবি পুলিশ যেন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করে।