শেষ আপডেট: 6 July 2023 02:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার মহারণ। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রীতিমতো সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই ভোট বয়কটের দাবি জানিয়ে প্ল্যাকার্ড পড়ল নিউটাউনের অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান এলাকায়। নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে এমন প্ল্যাকার্ডকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতোর শুরু হয়েছে। সিপিএমের ধারণা, ভোট লুঠের অভিসন্ধি রয়েছে তৃণমূলের। তাই ওরাই চালাকি করে এমন পোস্টারে ছেয়ে দিয়েছে এলাকা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত এলাকা হলেও এই জায়গা শহর কলকাতার থেকে কোনও অংশে কম নয়। বড় বড় আবাসন, ঝাঁ চকচকে মখমলের মতো রাস্তা, নামী-দামি হোটেল, শপিং মল, নাম করা সব আইটি কোম্পানি—সবকিছুই রয়েছে এই পঞ্চায়েতে। আর তারপরেও নাকি আপত্তি এই এলাকার বাসিন্দাদের। সূত্রের খবর, জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন, এত পাওয়ার মধ্যেও একটা না পাওয়া তাঁদের মনে কাঁটার মতো বিঁধে থাকে।
কী সেই কাঁটা? জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নয়। বাসিন্দাদের দাবি পুরসভা তকমা। সেই না পাওয়া থেকেই নাকি ক্ষোভ জমছে তাঁদের মনে। আর সেইজন্যই ভোট বয়কটের অনুরোধ জানিয়ে প্ল্যাকার্ড পড়েছে অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে। সেই প্ল্যাকার্ডগুলির নীচে লেখা, ‘রেসিডেন্টস অফ নিউটাউন।’ জ্যাংড়া-হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ৩৬। তারমধ্যে আটটি আসন রয়েছে এনকেডিএ-র অন্তর্ভুক্ত এই এলাকার মধ্যেই।
এখানকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজারের আশেপাশে। কিন্তু, কারা এই প্ল্যাকার্ড লাগালেন? কখনই বা লাগালেন? এসব নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউই। তাই স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। সিপিএম নেতা সপ্তর্ষি দেব বলেন, “এর পিছনে শাসকদল আছে। এরা ভোট লুঠের জন্য এই ধরনের প্ল্যাকার্ড দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ ভোট বয়কট করলে ছাপ্পা দিতে সুবিধা হবে।” একই অভিযোগ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও।
বর্ষায় পঞ্চায়েত ভোট, ভোটকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে কার্বলিক অ্যাসিড-টর্চ লাইট