শেষ আপডেট: 14th November 2024 14:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার: তৃণমূলের নেতা ভেবে গুলি। অল্পের জন্য সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় রক্ষা পেলেন তৃণমূল নেতার আত্মীয়। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পড়ে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারি গ্রামে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। গুলির খোল উদ্ধার করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, গত লোকসভা ভোটে মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপকভাবে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল করতেই ওই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, মহিষকুচি -২ তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান তথা তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী চৈতি বর্মন বড়ুয়ার ছেলে নীহার বড়ুয়া। অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ শাবল দিয়ে ভাঙ্গা হয় তাঁর শোবার ঘরের দরজা। সেই সময়ে ওই ঘরে শুয়েছিলেন নীহারের ভাগ্নে। দুষ্কৃতীরা নীহার ভেবে গুলি চালায়। কোনওক্রমে জানালা দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁর ভাগ্নে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে দেওয়ালে গিয়ে লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার পুলিশ।
নীহার জানান, বেশিরভাগ সময় রাতে ঘরেই থাকেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় দলের কাজকর্ম সেরে কোচবিহারের বাড়িতে ফিরেছিলেন। রাতে খবর পান বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে তিনি শুয়ে আছেন ভেবে বিছানায় শুয়ে থাকা তাঁর ভাগ্নেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তাঁর ভাগ্নে। তিনি বলেন, "মহিষকুচি-২ অঞ্চলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী তৃণমূল। তাই আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই গুলি চালানো হয়েছে। তবে এভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না। দলের জন্য প্রাণ দিতেও আমি প্রস্তুত।"
যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি উৎপল দাস জানান, সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ।