শেষ আপডেট: 9th January 2023 05:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: একটা প্রজন্মকে হারানো ছেলেবেলায় ফিরিয়ে দিল বর্ধমান পাপেটিয়ার্স। বর্ধমানের (Bardhaman) টাউন হলে তাদেরই উদ্যোগে শুরু হল জাতীয় পুতুল নাটক উৎসব (National Puppet Drama Festival)।
কাঁধে বেণী ঝোলানো পুতুল নিয়ে কবেকার সেই মনখারাপ করা দুপুরে পুতুল নাচ আসত মফস্বলের গলিতে। সব কাজ ফেলে তখন দে ছুট। আর ছুটতে না পারলেও মন উড়ু উড়ু। রূপবতী কোনও কন্যার কাহিনী কিংবা বেহুলার দুঃখে আকুল হয়ে উঠত শীতের দিনগুলি। তারপর কবে যেন বদলে গেল দিন। সেই মন কেমনের বাঁশি শুনিয়ে আর আসে না পুতুল নাচের দল। একটা প্রজন্মের সুখ-দুঃখের আবেগগুলিও অপরিচিত থেকে গেল পরবর্তীদের।
এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করেছিল বর্ধমান পাপেটিয়ার্স। তারপর তিন দশক ধরে চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। পুতুল নাচ আসলে এমন একটা ফর্ম যেখানে আসল শিল্পী আড়ালে থাকেন। প্রকাশ্যে কথা বলে, গান গায় পুতুল। পুরনো দলগুলো সময়ের চাপে রক্তশূন্য হয়ে গেলেও পাপেটের অনেক নতুন দলই আবার এই শিল্পকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। বর্ধমান পাপেটিয়ার্স তেমনই একটি দল।
বর্ধমানের টাউন হলে তাদের জাতীয় পুতুল নাটক উৎসব রীতিমতো মন কেড়েছে শহরের মানুষের। দলে দলে আসছেন লাগোয়া এলাকার মানুষও। চারদিনের এই উৎসব। গোটা দেশ এবং এ রাজ্যের সেরা পুতুল নাচিয়েরা এখানে হাজির হয়েছেন। সাবেকি আর আধুনিক নানা ফর্মের পাপেটের মেলবন্ধন ঘটেছে মেলায়।
রাজস্থান, দিল্লি আর ত্রিপুরা থেকে পুতুল নাচের দল এসেছে বর্ধমানে। পাশাপাশি বর্ধমান ছাড়াও কলকাতা, উঃ ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পুতুল নাচের দল এসেছে। রয়েছে হরেক পুতুলের প্রদর্শনী আর খাবারের স্টল। সুন্দরভাবে পুতুল দিয়ে বাইরের প্রাঙ্গন সাজিয়েছে পাপেটিয়ার্স বর্ধমানের সানডে ক্লাসের ছোট্ট শিল্পীরা।টাউনহলের বাইরে ও ভিতরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান রয়েছে। প্রথম দিনের প্রথম শো ছিল হাউজফুল। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে চান উদ্যোক্তারা। সেই লক্ষ্যেই প্রচার চালানো হয়েছে শহরজুড়ে।
পুকুরে স্নান করছিলেন মহিলারা, জাত তুলে গালাগাল দিতে দিতে তাড়া করল পঞ্চায়েত উপপ্রধান