শেষ আপডেট: 9th January 2025 15:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: দুলালের প্রতিপত্তি যত বাড়ছিল, ততই কোণঠাসা হচ্ছিলেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। শুধু রাজনীতির ময়দানেই নয়, ব্যবসা ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছিল তার। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, দুলালের বাড়বাড়ন্ততে আয় কমছিল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গী কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহনের। তার জেরেই দুলালকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল দুজন। মঙ্গলবার রাতভর জেরার পরে বুধবার ভোরে ইংরেজবাজারের শহর তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই এই তৃণমূল নেতাকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে দল।
বুধবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। রোহনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেই যে এই খুন তাও কবুল করেছেন তিনি। ঘটনায় দুই শার্প শ্যুটার-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও নিখোঁজ অন্যতম চক্রী কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন। খোঁজ মেলেনি গাড়ি চালকেরও।
এডিজি সাউথ বেঙ্গল সুপ্রতীম সরকার বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মালদহের জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল সরকারকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার ডিল হয়েছিল। চারজন এসেছিল গাড়িতে। তাদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুজন এখনও পলাতক। তাছাড়া গাড়ি চালিয়ে যে এসেছিল,তাকেও এখনও ধরা যায়নি। এই অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে জেলা পুলিশ ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের কারখানার কাছেই খুন হন তৃণমূলের মালদহ জেলা সহ-সভাপতি দুলাল সরকার। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুষ্কৃতীরা তাড়া করায় প্রাণ বাঁচাতে কারখানায় ঢুকে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলি লাগে তৃণমূল নেতার মাথায় ও ঘাড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পরেই তোলপাড় শুরু হয় গোটা জেলায়।