দ্য ওয়াল ব্যুরো: মিয়া খলিফা, সানি লিওনের পরে এবার মালদা জেলার মানিকচক কলেজের প্রভিশনাল মেরিট লিস্টে নাম উঠল সঙ্গীতশিল্পী নেহা কক্করের। আশুতোষ কলেজের পরপরই ফের রাজ্যের অন্য প্রান্তে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মানিকচকের শিক্ষক-পড়ুয়া মহলে। এই ঘটনার পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, লিস্ট বেরোনোর পরে দেখা যায়, বিএ জেনারেল শাখায় ভর্তির আবেদনকারীর নাম নেহা কক্কর। র্যাঙ্ক লিস্টে ওই নাম দেখে সন্দেহ হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের। এছাড়া আবেদনকারীর উচ্চমাধ্যমিকে পাওয়া নম্বর হিসেবে দেখা যায়, পাঁচশোর মধ্যে পাঁচশো পেয়েছেন তিনি। এর ফলে সন্দেহ আরও বাড়ে তাঁদের। তড়িঘড়ি মেধাতালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থার সাহায্য নিয়ে চূড়ান্ত মেধাতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় ওই নামটি। মানিকচক থানা এবং মালদা সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন মানিকচক কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে মানিকচক ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল আলি জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে আসতেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কী করে র্যাঙ্ক লিস্টে নেহা কক্করের নাম এল তাই নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষও তদন্ত শুরু করেন। কিছু অসাধু মানুষজন এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
মানিকচকের বামফ্রন্ট নেতা শ্যামল বসাক জানান, এই সরকার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করছে। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের মেরিট লিস্ট বা র্যাঙ্ক লিস্টে নানা রকম সেলিব্রিটিদের নাম থাকছে। এবার মানিকচক কলেজেও নেহা কক্করের নাম রয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা চিন্তিত, কোনও রকম যাচাই ছাড়াই কী করে অনলাইনে ফর্ম ফিলাপ হচ্ছে! ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করছি আমরা।"
এ নিয়ে মানিকচক কলেজের প্রিন্সিপাল অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী জানান, "কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ইতিমধ্যেই র্যাঙ্ক লিস্ট থেকে নেহা কক্করের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মালদা সাইবার ক্রাইম থানা ও মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।"