শেষ আপডেট: 3rd September 2023 08:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: শনিবার সকাল ১১:৫০ মিনিট। গোটা দেশের মানুষকে গর্বিত করে সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিল ইসরোর আদিত্য এল ওয়ান। আনন্দে চোখের জলে ভাসলেন নদিয়ার কালীনারায়ণপুরের বিশ্বাস পরিবার। চন্দ্রযানের মতোই সূর্যযানেরও (Barun Biswas part of aditya L 1) ট্র্যাকিং সিস্টেমের অন্যতম সদস্য যে তাঁদের বাড়ির বরুণ (Nadia Barun Biswas)।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। রীতিমতো লড়াই করেই বড় হয়েছেন বরুণ। এলাকার স্কুলে পড়াশোনা। তারপর হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে যোগ দেন ইসরোতে। বাবা ছিলেন পুলিশকর্মী। ছেলেকে নিয়ে কথা বলতেই চোখের কোনা চিকচিক করে উঠল জওহরলাল বিশ্বাসের। বললেন, “ছোট থেকেই নানা যন্ত্র নিয়ে ওর আগ্রহ। ভাঙাগড়ার খেলা চলত নিত্যই। যখন যেটা করবে বলে ভাবত, করেই ছাড়ত। এখনও সেটাই করে চলেছে।”
চন্দ্রযান-৩ এ ছিলেন বরুণ। সেই প্রসঙ্গ তুলে বরুণের বাবা বললেন, “চন্দ্রযানের সাফল্যে খুব গর্ব হচ্ছিল। অনেক কষ্ট করে এই জায়গায় পৌঁছেছে।” চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণের পর বিশ্ববাসী দেখেছে চাঁদের অনেক ছবি। এবার অদেখা সূর্যকে দেখার অপেক্ষা। গ্রামের মানুষও আনন্দে ভাসছেন। বরুণ যে গোটা জেলার গর্ব। চন্দ্রযান-৩ এ সাফল্য এসেছে। সূর্যেও সাফল্য আসবেই নিশ্চিত বরুণের বাবা।
পিসএলভি সি-৫৭ রকেটের আপার স্টেজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে আদিত্য এল-১। এবার পৃথিবীর কক্ষপথে পাক খেয়ে সূর্যের (ISRO) দিকে এগিয়ে যাবে। সময় লাগবে প্রায় ১২০ দিন। ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবীর মধ্যে একটি ‘হ্যালো’ কক্ষপথের ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট বা এল১ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে।
বাদুড়িয়ার জয়ন্ত এবার সূর্য-অভিযানের শরিক, চন্দ্রযানের সাফল্যেরও অন্যতম ভাগীদার তিনি