দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি নিয়ে নানা সময়ে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। সময়ে স্কুলে না আসা, আগেভাগে বেরিয়ে যাওয়া, টিফিন খাওয়ার নাম করে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করারও অভিযোগ রয়েছে (Nabanna new school regulation)।

স্কুলে এবার শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীদের মধ্যে 'কর্মসংস্কৃতি' ফিরিয়ে আনতে কড়া নির্দেশিকা (Nabanna new school regulation) জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

স্পষ্ট জানানো হল, স্কুল চলাকালীন কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীরা বের হতে পারবেন না। যদি একান্ত বেরতে হয়, তবে প্রধান শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই (authority permission) যেতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, বেঁধে দেওয়া হল স্কুলের টিফিন টাইমও। বলা হয়েছে দেড়টা থেকে দু'টো পর্যন্ত যে টিফিন টাইম রয়েছে সেইসময়ও স্কুলের বাইরে যেতে পারবেন না কেউই। যদি কেউ এই নির্দেশিকার অমান্য করেন, তবে তাঁকে অনুপস্থিত হিসেবে ধরা হবে।

গত শনিবার, অর্থ দফতরের (finance department) তরফে একটি মেমোরান্ডাম জারি করে সরকারি অফিসে কর্মদক্ষতা এবং শৃঙ্খলা উন্নত করার জন্য, এবং ঝামেলা এড়াতে বেশ কিছু নয়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার সেই নিয়মই স্কুলের জন্যও কার্যকর করা হবে বলে জানাল পর্ষদ।

স্কুলে এখন গরমের ছুটি চলছে। স্কুল খুললেই নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মীদের। সূত্রের খবর, স্কুলগুলিকে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, যদি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা বা অশিক্ষক কর্মীরা নতুন নিয়ম না মানেন, তবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা জেলা স্কুল পরিদর্শককে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরকে। এর আগের সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই নিয়ম চালু করার কথা বলেছিল নবান্ন।

এই নিয়ে শিক্ষক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিষ্ট্রেসেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি জানান, 'টিফিন পিরিয়ডে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীগণ কী খাবেন, কোথা থেকে খাবেন, কেমন ভাবে খাবেন, তা কোনও পর্ষদ কিংবা কোনও শিক্ষাদফতর ঠিক করে দিতে পারে না!'

তিনি আরও বলেন, 'এমন বহু স্কুল আছে যেখানে স্কুলের ভিতর খাবার থাকে না। দূর থেকে যাঁরা আসেন তাঁরা খাবার আনতে পারেন না। বাইরে থেকে খাবার নিতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে মাঝেমধ্যেই টিফিনের সময় বাইরে যেতে বাধ্য হন। এই নির্দেশিকা জারি করে ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে সরকার।'

মমতার নির্দেশ, ২৭৮৬ পদে এখনই নিয়োগ করুন, ওদের আর অপেক্ষায় রাখবেন না