শেষ আপডেট: 3rd September 2023 08:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মুর্শিদাবাদ: এক সপ্তাহের ব্যবধানে দু-দুটো ফাঁসির সাজা বহরমপুর আদালতে। বৃহস্পতিবার কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয় তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর। এক সপ্তাহ আগেই জিয়াগঞ্জের শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ ঘোষ, তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী এবং এক সন্তানকে খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় উৎপল বেহরা নামে এক যুবককে। সুতপা খুনের তদন্ত করেছিলেন সাব ইন্সপেক্টর অনিমেষ চ্যাটার্জি। জিয়াগঞ্জের খুনের মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন ইন্সপেক্টর গোবিন্দ বিশ্বাস। শুক্রবার এই দুই আধিকারিককেই সংবর্ধনা জানাল মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ (Murshidabad Police) ।
২০২২ সালের ২ মে। দিনটা ছিল সোমবার। সন্ধে ৬ টা ৩৫ মিনিটে বহরমপুর শহরের গোরাবাজারের অভিজাত পাড়ায় ঘটেছিল সেই হাড়হিম করা ঘটনা। এক বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন সুতপা। সিনেমা দেখে ফেরার সময় সুতপার পিছু নেয় সুতপারই প্রাক্তন প্রেমিক সুশান্ত। মেসের সামনে আসতেই হামলা করে সে। খুনের ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শামসেরগঞ্জের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে সুতপা হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করা হয়। সুশান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ও ২০১ ধারায় (প্রমাণ লোপাট) চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালতে জমা পড়ে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, পুর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবারই ফাঁসির সাজা হয় সুশান্তর।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের ৮ অক্টোবর জিয়াগঞ্জ শহরে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। খুনির হাত থেকে রেহাই পায়নি তাঁর ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানও। এই ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয় উৎপল বেহরা নামে এক যুবককে। তদন্তে উঠে আসে, ওই দিন দুপুরে বন্ধুপ্রকাশ পালের বাড়ি গিয়েছিল উৎপল। তারপর হাঁসুয়া দিয়ে একাধিক বার বন্ধুপ্রকাশের ঘাড়ে কোপ মেরে খুন করে উৎপল। ঘটনার সময় বন্ধুপ্রকাশের সাত বছরের ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাড়িতেই ছিলেন। তাঁদেরও নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়া, ব্যাগ, জুতো উদ্ধার করে পুলিশ। পরে উৎপলকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৬টি ফাইল আদালতে জমা দিন, অভিষেকের মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের