শেষ আপডেট: 6th November 2024 17:53
কোচবিহার শহর, যা একসময়ে তার দিঘিগুলির জন্য পরিচিত ছিল, সেই ঐতিহ্য এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। রাজা-মহারাজার আমলে তৈরি হওয়া ৮৩টি দিঘির মধ্যে এখন কেবল ৩৩টি দিঘি অবশিষ্ট রয়েছে!
বেশিরভাগ দিঘিগুলি অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু জায়গায় গড়ে উঠেছে বড় বড় মার্কেট ও ফ্ল্যাট। রাজাদের আমলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই দিঘিগুলি খনন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন, অধিকাংশ দিঘি অবৈধ দখলের শিকার হওয়ায় শহরের পরিবেশ রক্ষা নিয়ে যেমন উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ, তেমনই চিন্তায় আছেন পুরসভার কাউন্সিলর রবীন্দ্রনাথ ঘোষও।
গোটা পরিস্থিতির জন্য পূর্ববর্তী বামফ্রন্ট সরকারকেই দায়ী করেছেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর কথায়, তাঁদের আমলেই বেশিরভাগ দিঘি বুঁজিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জমিতেই বাড়ি-বাজার সব তৈরি করা হয়েছে। তবে যে দিঘিগুলি অবশিষ্ট রয়েছে তা পরিষ্কার করার সম্পূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং তার ভিত্তিতে কাজও শুরু হবে বলে জানান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
কোচবিহারের প্রাণকেন্দ্রে সাগরদিঘি ও বৈরাগী দিঘি সহ অন্যান্য দিঘিগুলিকে ইতিমধ্যে সাজানোর কাজ চলছে। এছাড়াও শহরের মধ্যে আরও অনেক দিঘি সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে সম্প্রতি। সাতটি প্রধান দিঘিকে হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে লম্বা দিঘি, ডেঞ্জারিয়া দিঘি, লাল দিঘি, কাইয়া দিঘি, শিব দিঘি, রাজমাতা দিঘি এবং ধোপা দিঘির নাম উল্লেখযোগ্য।