শেষ আপডেট: 2 February 2023 13:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: দিদির দূত হয়ে এলাকায় গিয়ে রতুয়ার এক দিনমজুর পরিবারের মেয়ে পায়েল রহমানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল মালতীপুরের বিধায়ক (MLA) আবদুল রহিম বক্সির। হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা পায়েল এখন মেডিক্যাল পড়ুয়া (medical student)। প্রতিমুহূর্তে কী ভাবে দারিদ্র তাঁর চলার পথে বাধা হচ্ছে, বিধায়ককে কাছে পেয়ে তা জানিয়েছিলেন ডাক্তারির এই ছাত্রী। একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন একটি ল্যাপটপ পেলে পড়াশোনায় ঠিক কতটা সুবিধা হবে তাঁর। সেই দুস্থ মেডিক্যাল ছাত্রীর হাতেই ল্যাপটপ তুলে দিলেন মালতীপুরের বিধায়ক।
কয়েক সপ্তাহ আগে দিদির দূত হয়ে মালদার রতুয়া-২ ব্লকে গিয়েছিলেন মালতীপুরের বিধায়ক আবদুল রহিম বক্সি। ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচির সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দিনমজুর পরিবারের ওই ছাত্রী। আলাপচারিতায় বিধায়ক জানতে পেরেছিলেন পায়েল মেধাবী ছাত্রী কিন্তু আর্থিক কারণে তাঁর ডাক্তারি পড়া বন্ধ হতে চলেছে। সব জেনে তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন বিধায়ক। বৃহস্পতিবার তাঁর হাতে একটি ল্যাপটপ তুলে দিলেন। বিধায়ক তহবিল থেকে ব্যবস্থা করলেন মাসিক সাহায্যেরও।
এদিন বিধায়ক বলেন, “সরকার এই ছাত্রীর জন্য যা করছে তার পাশাপাশি আমরাও মাসিক আর্থিক সহায়তা দেব। ওঁর যা যা সমস্যা আছে তার তত্ত্বাবধান করব। আশা করি এরপর কোনও সমস্যা ছাড়া পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।” পায়েলেরও আশা, এবার নির্বিঘ্নেই তিনি তাঁর পড়াশোনা শেষ করতে পারবেন।
পায়েল রহমানের বাবা মাইনুল হক পরিযায়ী শ্রমিক৷ মা নাসিমা পারভিন সংসার সামলান৷ মহারাজপুরের কাটাহা দিয়ারা গ্রামে তাদের বাড়ি৷ ২০১৫ সালে মহারাজপুরের কেপাতুল্লা হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন পায়েল৷ শিলিগুড়ির আল আমিন মিশন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন৷ চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আল আমিন মিশনেই এক বছর কোচিং নেন৷ বসেছিলেন নিট পরীক্ষায় ৷ সাফল্যও পেয়েছিলেন৷ প্রথম এক বছর ডেন্টাল কলেজে পড়াশোনা করেন৷ পরের বছর আবার নিটে বসেন৷ এবার কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু সেখানে পড়ার খরচ জোগাড় করতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা তাঁর বাবার। বিধায়ক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরল পায়েলের পরিবারে।