শেষ আপডেট: 5 June 2023 08:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া 'অভিশপ্ত' করমণ্ডল এক্সপ্রেসের বগি থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি মোবাইল ও জামাকাপড় ভর্তি ব্যাগ। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না সিআরপিএফ জওয়ান নিখিল ধাড়ার। চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে নিখিলবাবুর পরিবারের।
ইন্দাসের কুশমুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নিখিলবাবুর পোস্টিং ছিল ছত্তীসগড়ে। কয়েকদিন আগে বিহারে সিআরপিএফের একটি ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার আগে গ্রামের এক ঘনিষ্ট বন্ধু লক্ষ্মীনারায়ণ কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বন্ধুকে তিনি বলেছিলেন, প্রচুর কাজ রয়েছে, তাই এই মুহুর্তে বাড়িতে আসা তাঁর পক্ষে আপাতত সম্ভব নয়। ছত্তীসগড়ে ফিরতে তিনি খড়্গপুর থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ধরবেন।
এরপরেই ২ তারিখের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয় নিখিলবাবুর গ্রামে। তারপর থেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে নিখিলবাবুর মা-বাবা ও পাড়া প্রতিবেশীরা। নিখিলবাবুর খোঁজ পেতে তাঁরা গত তিনদিন ধরে ইন্দাস থানায় চক্কর কাটছেন। কিন্তু পুলিশও খোঁজ দিতে পারছে না ওই সিআরপিএফ জওয়ানের।
যদিও ইন্দাস পুলিশ জানতে পেরেছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকেই নিখিলবাবুর জামা-কাপড়ের ব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু তিনি জীবিত না মৃত সেবিষয়ে নিশ্চিত খবর তারা পায়নি।
এদিকে জলজ্যান্ত ছেলে কোথায় গেল, এই দুশ্চিন্তাই কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে নিখিলবাবুর মাকে। চোখের জল মুছতে মুছতে জানান, 'একমাত্র ছেলে। বারো বছরের নাতনি রয়েছে। অগ্রহায়ন মাসে শেষ বাড়িতে এসেছিল। তারপর থেকে বাড়ি ফেরেনি।'
ওই জওয়ানের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা গ্রাম। প্রতিবেশীরা ইতিমধ্যে ওড়িশায় গিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছেন। কিন্তু নিখিলবাবুর খোঁজ মেলেনি। এখন ওই জওয়ানের খোঁজ পেতে সিআরপিএফ কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।
রেলকে চিঠি দেবেন রবীন্দ্রনাথ, গয়না বন্ধক রেখে দেহ আনা নিয়ে প্রশ্ন