শেষ আপডেট: 21 October 2022 06:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর দিনাজপুর: প্রেমের সম্পর্ক (love affair) থাকার পরেও বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না প্রেমিক। তাই বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিল ১৭ বছরের কিশোরী। কিন্তু পুলিশ এসে সেই ধর্না তো তুলে দেয়ই, সঙ্গে নাবালিকাকেও থানায় নিয়ে যায়। এবার থানার ভিতরেই নিজের ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা (suicide) করল কিশোরী। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানায় ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
নাবালিকার বাড়ি কালিয়াগঞ্জ থানার মাধবপুর সংলগ্ন কাশিডাঙা এলাকায়। সে বাঙালবাড়ি হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। জানা গেছে, ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরের সঙ্গে গত দু'বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। সমস্থপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রের বাড়ি বেলতোড় গ্রামে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছিল কিশোরী। কিন্তু প্রেমিকের বাড়ির লোকজন হেমতাবাদ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায়। দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ও একজন লেডি কনস্টেবলের উপস্থিতিতে মহিলা কয়েদিদের ঘরে বসিয়ে রাখা হয় ওই নাবালিকাকে। কিছুক্ষণ পর শৌচালয়ে যায় সে। আচমকাই সেখান থেকে অদ্ভুত আওয়াজ পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় দরজা ভেঙে শৌচাগারে ঢোকেন পুলিশকর্মীরা। সেখানেই তাকে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখা যায়।
সঙ্গে সঙ্গে কিশোরীকে উদ্ধার করে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ইতিমধ্যেই কিশোরীর প্রেমিক ওই নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল দুজনের মধ্যে। মৃতা ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। তবে অভিযুক্ত প্রেমিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বর্ধমানে বর্বরতা: সুদের টাকা না মেটানোয় রেললাইনে বেঁধে রাখা হল যুবককে, কাটল পা