শেষ আপডেট: 22nd December 2021 14:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো : দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিনে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। আর সেই আবহে বাঁকুড়ার শহরতলির ঝিলে হাজির হয়েছে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি। রংবেরঙের পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখর গোটা এলাকা। দূর থেকে সেই ভিনদেশি পাখির ঝাঁক দেখতে রীতিমতো ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরাও। গত কয়েক দশকে রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো দ্রুত বদলে গিয়েছে বাঁকুড়া। আর পাঁচটা শহরের মতো ধোঁয়া আর ধুলোর দূষণে ক্লান্ত বাঁকুড়া শহরও। দূষণের ফলে মুখ লুকিয়েছে রংবেরঙের পাখির দল। তবে কয়েক বছর ধরে শহর থেকে খানিক দূরে বাঁকুড়ার শহরতলির একটি ঝিলে হাজির হয় পরিযায়ী পাখিরা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয় একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক তাপস সনগিরি জানান, পরিযায়ী পাখিরা এখানে তাদের নিশ্চিন্ত আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রতিবছর নভেম্বর মাস এলেই দূরদূরান্ত থেকে পরিযায়ী পাখির দল ঝাঁক বেঁধে ছুটে আসে সেই ঝিলে। কয়েকমাস ধরে সেখানে থেকে ফেব্রুয়ারি মাস এলেই নিজেদের দেশে ফিরে যায় পরিযায়ী পাখিরা। বছরের এই ক'টা মাস পাখিদের কাকলিতে ভরে থাকে ঝিলের চারপাশ। শীতের মিঠে রোদে গায়ে মেখে দল বেঁধে পাখিদের নিয়ত আনাগোনা দেখতে বাঁকুড়া শহরের মানুষ ছুটে যান ওই ঝিলের কাছাকাছি। স্থানীয় একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধীনে থাকা ওই ঝিলে আসা পরিযায়ী পাখিদের সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ছে বলেই দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। রেজিস্ট্রার রামানন্দ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরে এই ঝিলে পাখিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে নাগরিক সমাজ উদ্যোগী হওয়াতেই পাখির সংখ্যা ফি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে কোনও ধরনের উৎপাত বা চোরাশিকারিদের উপদ্রব নেই। শহরের অদূরে পরিযায়ী পাখিদের এমন অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষও।