শেষ আপডেট: 15th January 2022 12:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুন্দরবনে সুন্দরী গাছ, আর তাদের মাথায় এখন ফুলের মুকুটের মতো শোভা পাচ্ছে পরিযায়ী পাখির ঝাঁক। শীত এলেই দূরদূরান্ত থেকে উড়ে আসে ওরা। আবার শীত ফুরোলেই চলে যায়। তাই এই কদিনের অতিথিদের দেখতে শীতের মরশুমে সুন্দরবনে ভিড় জমান দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু পর্যটক ও গবেষকরা। সেইসঙ্গে ম্যানগ্রোভ অরণ্যে বাঘ, হরিণ, কুমিরের মতো অন্যান্য আকর্ষণ তো আছেই। কিন্তু ইদানিং পরিযায়ী পাখিরাও প্রায় স্থানীয় হয়ে উঠেছে। বছর তিনেক হল দেখা যাচ্ছে, পাখিরা শীত ফুরোলেও আর ফিরে যাচ্ছে না। সুন্দরবনের মায়ায় বিদেশি পাখিদের বুঝি মন টিকে যাচ্ছে। পরিযায়ী পাখির দল এখন স্থায়ী ভাবে আস্তানা গেড়েছে সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের চুনাখালি এলাকায়।হানা নদীর তীরেই রয়েছে ম্যানগ্রোভ ঘেরা জঙ্গল রয়েছে। যার ডালে ডালে কিচিরমিচির এখন অবিরাম শব্দ। তারপর আবার তাদের সন্তান সন্ততিও বেড়েছে। শামুকখোল, হাঁস, ঢলবক, সারস-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরাই এখন স্থানীয়দের অ্যালার্ম ক্লক। আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, অতিথি পাখিদের যত্ন নেওয়া হোক। তাদের জন্য থাকার গাছ এবং জলের মাছ যেন পর্যাপ্ত থাকে। কে বলতে পারে আগামী দিনে সুন্দরবনের চুনাখালিও হয়তো পাখিরালয় হিসাবে স্থান করে নেবে সুন্দরবনের ভৌগোলিক মানচিত্রে! পাখিদের দেখার জন্য ভিড় জমাবেন আরও বেশি পর্যটক। এতে যে এলাকার অর্থনীতিতেও হাল ফিরবে! তাই শীতপাখিদের নিয়ে এখন বিশেষ আশাবাদী সুন্দরবনের মানুষ।