শেষ আপডেট: 25th July 2023 14:28
একশ দিনের কাজের বরাদ্দ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আবাস যোজনা খাতেও বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে। এবার কি সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলের (Mid day Meal) টাকাও বন্ধ করে দেবে দিল্লি? শিক্ষা দফতরের (Education Department) একটি টেক্সট মেসেজকে কেন্দ্র করে উৎকন্ঠা ও উদ্বেগ ছড়িয়েছে জেলা প্রশাসনে।
ওই মেসেজে বলা হয়েছে, মিড মিল প্রকল্পে ইউসি (ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) এই সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা সচিবের কাছে জমা দিতে হবে। তাই সমস্ত জেলার মিড ডে মিল অধিকর্তাকে যত দ্রুত সম্ভব খরচের হিসাব পেশ করতে বলা হয়েছে। টেক্সট মেসেজে লেখা হয়েছে, “এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনও বৈঠক করেছিলেন। ইউসি সময় মত জমা না দিলে ১০০ দিন কিংবা আবাস যোজনার মত মিড ডে মিলের টাকাও বন্ধ করে দিতে পারে কেন্দ্র।"
সূত্রের খবর, শিক্ষা দফতরের এই বার্তা পাওয়ার পর এরই মধ্যে কয়েকটি জেলা তাদের খরচের হিসাব পাঠিয়ে দিয়েছে। বাকি জেলাগুলিও পাঠাচ্ছে। সব জেলার রিপোর্ট পেয়ে গেলে তা কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেবে বিকাশ ভবন।
শিক্ষা দফতরের বার্তায় উদ্বেগ ছড়ালেও এ প্রশ্নও উঠেছে যে এবার শিশুদের মুখের গ্রাসও কি কেড়ে নেওয়া হবে? মিড মিল স্কিম বাস্তবায়নে বাংলায় বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অনেকের মতে, সেই চোরেদের অবশ্যই ধরা দরকার। কিন্তু রাজ্যকে শাস্তি দিতে গিয়ে মিড ডে মিলেই বরাদ্দ বন্ধ করলে তার আঘাত শিশু তথা স্কুল পড়ুয়াদের উপর এসে পড়বে।
এখানে জানিয়ে রাখা ভাল, রাজ্যে মিড ডে মিল ব্যবস্থা কেমন চলছে তা দেখতে ইতিমধ্যে দুটি টিম বাংলায় ঘুরে গিয়েছে। শুধু তাই নয় শেষবার যে টিম এসেছিল, তারা যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল তা একতরফা ছিল বলে রাজ্যের অভিযোগ। কারণ ওই টিম রাজ্য ও কেন্দ্র যৌথভাবে তৈরি হয়েছিল। অথচ দিল্লির প্রতিনিধিরা রাজ্যের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা না করে রিপোর্ট জমা করে দেয়। এ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
মিড ডে মিল স্কিম বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা আনতে শিক্ষা দফতর কয়েক দফা পরামর্শও দিয়েছে জেলাগুলিকে। এক, মিড ডে মিলের জন্য গোটা রাজ্যে একটি অ্যাকাউন্ট চালু থাকবে। ওই অ্যাকাউন্টেই জমা থাকবে মিড ডে মিলের টাকা। দুই, টাকার জন্য জেলাগুলি প্রয়োজন মতো রিকুইজিশন দিতে হবে। উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা বারবার অভিযোগ করেছেন, মিড ডে মিলের টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করছে নবান্ন। যদিও সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আগেই জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। ফলত, স্বচ্ছতা রাখতে ওই ধরনের কোনও অভিযোগও যাতে না ওঠে, সেইজন্য মিড ডে মিলের জন্য অ্যাকাউন্ট জেলাওয়ারি বন্ধ করে গোটা রাজ্যে একটিই অ্যাকাউন্ট চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: 'গা-ছাড়া মনোভাব দেখলে প্রধানমন্ত্রীকে জানাব', সিবিআইকে কড়া হুঁশিয়ারি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের