শেষ আপডেট: 21st June 2023 05:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংঘাত সপ্তমে পৌঁছেছিল। সরাসরি ব্লক সভাপতিকে বড় চোর বলেও তোপ দেগেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সেই তিনি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক (Manoranjan Byapari) দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। সেইসঙ্গে এও জানিয়েছেন, বিধায়ক পদটাও ছেড়ে দিতেন, কিন্তু এখন সেটা করলে তিনি খাবেন কী? বোঝাতে চেয়েছেন, বিধায়ক হিসাবে যে ভাতা পান তা দিয়েই দুবেলা দুমুঠো ডাল-ভাত খান।
ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জন লিখেছেন, জেলা তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কমিটির সদস্য ও রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, তিনি যে চাকরি করতেন, একুশে ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে তা তাঁকে ছাড়তে হয়েছিল। তারপর দুবছর ধরে পঞ্চাশবার ছোটাছুটি করেও পেনশন চালু হয়নি, পাননি গ্র্যাচুইটির টাকাও। ব্যাপারীর সাফ কথা, পেনশন চালু হলেই বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন।
উনিশের লোকসভার নিরিখে বলাগড় বিধানসভায় বিরাট ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। একুশে পদ্ম শিবির আশা করেছিল বলাগড় জিতবে। কিন্তু দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জনকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিক্সা চালিয়ে তাঁর প্রচার সাড়া ফেলেছিল মহল্লায়।
কিন্তু সময় যত এগোয় ততই ব্লক তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সংঘাত তীব্র হয় মনোরঞ্জনের। তাঁর সাফ কথা, দুর্নীতিকে তিনি প্রশ্রয় দেবেন না। এই মনোরঞ্জনই একসময়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। জিরাট কলেজে ঢুকে শান্তনুর ছবি খুলিয়েছিলেন তিনি। এখন সেই শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট নিয়ে যে সংঘাত চলছিল, সেই লড়াই আর চালিয়ে যেতে পারলেন না মনোরঞ্জন। জানিয়ে দিলেন, রাজনীতি তাঁর জন্য নয়। এখন মনোরঞ্জনের মন গলাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমিকা নেন কিনা সেটাই দেখার।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত-টিকিট বিক্রির অভিযোগ বলাগড়ে, মনোরঞ্জনের দাবি ব্লক সভাপতিই চোর