দ্য ওয়াল ব্যুরো: শাসক দলের থেকে দূরত্ব অনেক হলেও বাংলায় বিজেপি-ই যে দ্বিতীয় শক্তিধর দল তা পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শাসক দলের দাপট সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা, জঙ্গলমহল, এবং দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতে সফল হয়েছে বিজেপি। তাছাড়া লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহরা এ বার বাংলায় আরও সক্রিয় হবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে শাসক দলে। এই পরিস্থিতিতে দলকে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ২১ জুন নজরুল মঞ্চে কোর কমিটির বর্ধিত বৈঠক ডাকতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। কোর কমিটির বর্তমান সদস্য ছাড়া জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের ডাকা হবে ওই বৈঠকে। তৃণমূল শীর্ষ সূত্রের মতে, কোর কমিটির ওই বৈঠক থেকেই উনিশের প্রস্তুতির জন্য দাওয়াই দিতে পারেন নেত্রী। বিজেপি ও তাদের অনুগামী সংগঠনগুলির ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রচার এবং মেরুকরণের রাজনীতির মোকাবিলা দল কী ভাবে করবে সেটাই বাতলে দেবেন তৃণমূলনেত্রী। দলের বেশ কিছু নেতাকে তাঁদের আচরণ শুধরে নেওয়ার বার্তাও দিতে পারেন মমতা। কারণ সূত্রের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে মমতা দেখেছেন, যেখানে যেখানে ফল খারাপ হয়েছে, সেখানে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে দলের নেতাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়াটাই নেপথ্যে মৌলিক কারণ ছিল। নেতাদের ব্যক্তিগত জীবনযাপনে সংযম রাখার কথাও তাই সেদিন বলতে পারেন নেত্রী।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ২১ তারিখ কোর কমিটির বৈঠকের আগে জেলাওয়াড়ি সাংগঠনিক রদবদলও অনেকটাই সেরে ফেলা হবে। যেমন, শনিবারই পুরুলিয়া জেলায় নতুন তিন জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলরামপুর সহ পাঁচটি ব্লকের সভাপতিও বদলে দেওয়া হয়েছে। শিগগির নদিয়ার জেলা সভাপতি-র পদ থেকে গৌরীশঙ্কর দত্তকে সরিয়ে অন্য কাউকে সেই স্থানে বসাতে পারেন নেত্রী।