শেষ আপডেট: 17th March 2023 17:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোশাল মিডিয়ায় বিজেপি সবার আগে থেকে সক্রিয়। শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃণমূলে ছিলেন, সম্ভবত তখন তাঁর ট্যুইটার (Twitter) অ্যাকাউন্টই ছিল না। বা থাকলেও এক-আধটার বেশি টুইট করেননি। কিন্তু এখন তিনি (পড়ুন তাঁর অফিস) নিয়ম করে বিভিন্ন বিষয়ে ট্যুইট করেন। একই ভাবে ট্যুইটারে সক্রিয় দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতা-সাংসদরা।
কিন্তু বাংলায় শাসক দল তৃণমূল?
দেখা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, মহুয়া মিত্রদের মতো কয়েক জন ছাড়া বেশিরভাগ নেতা মন্ত্রী ট্যুইটারে সক্রিয় নন। ফলো করা পরের কথা। শুক্রবারের বৈঠকে এ ব্যাপারে বেশ ভালমতই বকুনি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠকে দিদি একটি তালিকা পড়ে শোনান। সেই তালিকায় অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমের মতো মন্ত্রীদের নামও ছিল। যাঁরা ট্যুইটারে একেবারেই সক্রিয় নন।
প্রশ্ন হল, ট্যুইটারে সক্রিয় থাকা বা না থাকা নিয়ে কেন এতটা স্পর্শকাতর তৃণমূল নেতৃত্ব?
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, রাজনৈতিক ধারণায় চলে। অর্থাৎ কে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ন্যারেটিভ তৈরি করতে পারছে। সেদিক থেকে ইদানীং কালে সোশাল মিডিয়া বিশেষ করে ট্যুইটার ভালরকম অনুঘটকের কাজ করছে। দেখা যাবে, নেতা-মন্ত্রীরা কোনও বিষয়ে ট্যুইট করলে তা সংবাদমাধ্যম লুফে নিচ্ছে। এবং পরক্ষণেই ফোর্স মাল্টিপ্লায়ারের মতো তা বৃহত্তর জন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।
এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে ট্যুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা কম। কিন্তু অনেকে মনে করেন, ট্যুইটার যাঁরা ফলো করেন, তাঁরা তুলনামূলক ভাবে শিক্ষিত অংশ। এবং এরা সমাজে জনমত তৈরিতে প্রভাব তৈরি করতে পারে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, এই প্রভাব তৈরির ক্ষেত্রে তৃণমূল পিছিয়ে পড়ছে। শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপ ঘোষরা যে ধারণা তৈরি করতে চাইছে, তা ঠিকমতো মোকাবিলা করছেন না ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা।
শুধু ট্যুইটারে অনীহা নিয়ে নয়, দিদির দূত কর্মসূচি প্রসঙ্গেও দলের রাজ্য নেতাদের এদিন বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি বলেন, অনেকেই গ্রামে গিয়ে রাত কাটাচ্ছেন না। বিডিও-র সঙ্গে দেখা করে চা খেয়ে চলে আসছেন। মানুষের কাছে যাচ্ছেন না। এরকম করলে চলবে না। কারা কারা গ্রামে যাচ্ছেন না বা সেখানে গিয়ে রাত কাটাচ্ছেন না সে ব্যাপারে দল এবার কেন্দ্রীয় ভাবে নজর রাখবে।
স্নাতকে চার বছরের পড়াশুনা এবার বাংলাতেও, কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মেনে নিল মমতা সরকার