শেষ আপডেট: 16th September 2023 14:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় তখন বাম জমানা। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে ইস্পাত কারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে জিন্দল গোষ্ঠীকে জমি দিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকার।
জিন্দলরা সরকারের থেকে সেই জমি নিলেও ইস্পাত কারখানা গড়ে তোলা নিয়ে টালবাহানা চলতেই থাকে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর প্রথম মেয়াদ থেকেই জিন্দলদের ঠারেঠোরে হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন জিন্দলরা ওই জমিতে বিনিয়োগ না করলে তিনি ফেরত নিয়ে নেবেন।
আরও পড়ুন: সৌরভের মধুর প্রতিশোধ? এভাবেও পাশে থাকা যায়! স্পেনে দিদিকে যোগ্য সঙ্গত দাদার
বস্তুত এতদিনে তার নিষ্পত্তি হয়েছে। গত ২৭ মে শালবনিতে একটি জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জিন্দলরা ওখানে সিমেন্ট কারখানা করার পরেও অনেকটাই জমি শিল্পের জন্য পড়ে রয়েছে। মমতা বলেছিলেন, “জ্যোতিবাবুরা জমি দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর আর কিছু হয়নি। জিন্দলদের একটা কারখানা আমি এসে উদ্বোধন করেছিলাম। ওদের শিল্পের জন্য কিছুটা জমি লেগেছে, বাদবাকি জমি ওঁরা ফেরত দিচ্ছেন। ওই জমিতেই বড় ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হবে”।
শালবনীতে জিন্দলদের থেকে ফেরত নেওয়া সেই জমিই ইস্পাত কারখানার (sourav ganguly steel plant) জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলায় আড়াই হাজার কোটি বিনিয়োগের ঘোষণা সৌরভের, জিন্দলদের ফেরত দেওয়া জমিতেই কারখানা
বামফ্রন্ট জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের এই জনপদে ইস্পাত এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির জন্য ৪,৩৩৪ একর জমি সজ্জন জিন্দলদের দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভটাচার্য। প্রথম ইউপিএ সরকারের সময়ে কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ও জিতিন প্রসাদ সেই জমিতে জিন্দলদের কারখানার শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। রামবিলাস তখন কেন্দ্রে ইস্পাত মন্ত্রী। ২০০৮ সালের ২ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল।
সেদিন ওই শিলান্যাস অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে তাঁদের লক্ষ্য করে ল্যান্ডমাইন হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। শুধু তা নয়, ওই ঘটনার পর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল ‘পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটি’। সংগঠিত হয়েছিল ‘লালগড় আন্দোলন’।
নবান্ন সূত্রে খবর, বাকি জমির সবটা হয়তো সৌরভকে দেওয়া হবে না। তার কিছুটা অংশ অর্থাৎ ইস্পাত কারখানা গড়তে যতটা জমি প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। বাকি জমিতে এরপরেও অনুসারী শিল্পের সুযোগ থাকবে।
শুক্রবার মাদ্রিদে সৌরভ জানিয়েছেন, ইস্পাত কারখানার জন্য তিনি আড়াই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছেন। এর ফলে ৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।