শেষ আপডেট: 24th March 2023 15:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ২১ মার্চ বগটুই হত্যাকাণ্ডের (Bagtui murder) বর্ষপূর্তি ছিল। ওইদিন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রামপুরহাটের ওই গ্রামে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও পৃথক কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গিয়েছিল, মিহিলাল শেখদের মতো কেউ কেউ শুভেন্দুর মঞ্চে হাজির ছিলেন। সূত্রের খবর, শুক্রবার বীরভূম জেলার নেতাদের নিয়ে কালীঘাটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে আক্ষেপ জানিয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বৈঠকের মধ্যেই মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘ওখানে ঘটনা ঘটার পরেই আমি গিয়েছিলাম। বাড়ি নির্মাণের খরচ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। চাকরিও দিয়েছি। তারপরও ওখানকার কেউ কেউ দেখলাম অন্যদের সঙ্গে রয়েছে। এটায় আমি খুব দুঃখ পেয়েছি।’
এ নিয়ে বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবেন এসব দিলেই বোধহয় মানুষকে কিনে নেওয়া যায়। ওখানে মানুষ তাঁর নিকট আত্মীয়কে আগুনে পুড়ে মরতে দেখেছেন। যা ঘটিয়েছিল তৃণমূলের লোকেরাই। তাঁরা তৃণমূলের ঝোলানো গাজর দেখে সব ভুলে যাবেন? মানুষ কি এত সস্তা?’
এদিন নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখকে বগটুইয়ে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে দলের তরফে আস্থার সম্পর্ক মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন দিদি। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মমতা বলেন, ‘কাজল তুই বগটুইয়ে যাবি। ওখানকার মানুষের ভাল-মন্দয় থাকবি।’
গত বছর ২১ মার্চ সন্ধ্যায় বগটুইয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হয়েছিলেন। তারপর গভীর রাতে লাইন দিয়ে বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল ১০ জনকে। ওই ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন এখনও জেলে। গত বছর আজকের দিনেই, ২৪ মার্চ বগটুইয়ে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এক বছরের মাথায় সেই বীরভূমের নেতাদের সামনে বগটুই নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন তৃণমূলনেত্রী।