শেষ আপডেট: 15th February 2023 09:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার বাজেট (State Budget) ভাষণে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের (Modi Govt) অদূরদর্শিতা এবং ভ্রান্ত নীতির জন্য আমাদের দেশ কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন, খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তুর আকাশছোঁয়া দামের জন্য দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বহুদিন ধরেই জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফলেই দেশের আর্থিক অবস্থা দিন দিন বেহাল হচ্ছে, বাড়ছে বেকারি। আজ বাজেট ভাষণে তাঁর অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা এই প্রসঙ্গের অবতারণা করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল আর্থিক নীতি, নোটবন্দি এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় জিএসটি চালুর ফলে শুধু সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন তাই নয় দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে আঘাত এসেছে।
চন্দ্রিমা বাজেট ভাষণে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার বরাদ্দ ছাঁটাই এবং মিড-ডে মিলে কম অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি বিশদে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ হ্রাস করাটা নক্কারজনক সিদ্ধান্ত। গত বছর এই খাতে ৮৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এবার তা কমিয়ে করা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা।
চন্দ্রিমা বলেন, এই স্কিমে নয় কোটি সক্রিয় কর্মী রয়েছেন, যাদের অনলাইন উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে নেটওয়ার্ক সংযোগ নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে এই কর্মীদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বরাদ্দ লজ্জাজনকভাবে কমিয়ে দিয়েছে, যা গরিব মানুষের জীবিকা নির্বাহের পরিপন্থী। আপনারা জেনে হতাশ হবেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে মিড ডে মিলের বরাদ্দও কমিয়ে দিয়েছে। অতিমারী সমস্যা সত্ত্বেও স্কুল পড়ুয়াদের সংখ্যা ২০১৮ সালে ৬৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-এ ৭২.৯ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু এই নিষ্ঠুর বরাদ্দ ছাঁটাইয়ের ফলে স্কুলছুট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বাড়াবে এবং তারা অপুষ্টির শিকার হবে।'
ডিএ ঘোষণার পর গর্জে উঠল সরকারি কর্মচারীদের অনশন মঞ্চ, ‘এই ভিক্ষা নিচ্ছি না’