শেষ আপডেট: 30th January 2024 20:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ বর্ডার এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ ধরনের এক আইডেন্টিটি কার্ড বিলি করছে বলে সোমবার কোচবিহারের সভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রায়গঞ্জের সভা থেকেও বিএসএফের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে সরব হন তিনি।
পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের সভা থেকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বালুরঘাট আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এই আসনে জয়ী হন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার সেই সুকান্তর সাংসদ এলাকায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমার কাছে ইনফরমেশন আছে, আগের বার বালুরঘাটে ভোটের লাইন করিয়েছিল বিএসএফ।’’
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী পরোক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ স্পষ্ট করতে চেয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই 'অতি সক্রিয়তা' নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "‘ভোট করায় নির্বাচন কমিশন, ডিএম , এসপিরা। সেখানে ওরা গিয়ে লাইন ম্যানেজ করে। কে দিয়েছে এই অধিকার?’’
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, "‘এ বার যদি শুনি.... মনে রাখবেন ইলেকশন চলে যাবে। আমরা কিন্তু থাকব। তখন কিন্তু সেই কথাটা আমারও মনে থাকবে।’’
ভোটের মুখে কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথাও বা এজেন্সিকে গ্রামে গঞ্জে পাঠিয়ে মানুষকে ভীত, সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে সোমবার কেচবিহারের সভা থেকে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " কোচবিহারের সীমান্ত এলাকার গ্রামে বিএসএফ আবার অত্যাচার শুরু করেছে বলে খবর পাচ্ছি। আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, গ্রামে গঞ্জে ঢুকে অত্যাচার করলে থানায় গিয়ে এফআইআর করবেন।"
একই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ বর্ডার এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ ধরনের এক আইডেন্টিটি কার্ড বিলির বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, "বিএসএফ আইডেন্টিটি কার্ড দিতে এলে নেবেন না। ওইকার্ড নিলে আপনি এনআরসির কোপে পড়ে যেতে পারেন।" এদিন বালুরঘাটের সভা থেকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশেষ কার্ড বিলির অভিযোগ এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।